এবারের বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষ ম্যাচে মঙ্গলবার মুখোমুখি হয় কলম্বিয়া ও ইংল্যান্ড। মস্কোর স্পার্তাক স্টেডিয়ামে দুই দলের লড়াইটি নির্ধারিত সময়ে ১-১ এ শেষ হয়। পরে অতিরিক্ত সময়েও খেলায় ফল নির্ধারণ হয়নি। তাই ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-৩ ব্যবধানে জয় কুড়ায় ইংল্যান্ড। এদিন পুরো ম্যাচ জুড়েই ছিল রোমাঞ্চ। এ ম্যাচে দুই দলের খেলোয়াড়রা মোট ৩৬ বার ফাউলের শিকার হন। আর উভয় দলের খেলোয়াড়রা হলুদ কার্ড দেখেন ৮টি।
যা এবারের আসরের কোনো ম্যাচে সর্বোচ্চ হলুদ কার্ডের রেকর্ড। এমন উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে হয়েছে কিছু রেকর্ডও। চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক সেগুলো-
১. নিজেদের বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টাইব্রেকারে জয়ের রেকর্ড গড়লো ইংল্যান্ড। এর আগে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে তিনবার টাইব্রেকারে হার দেখে ইংলিশরা।
৯৯. এদিন কলম্বিয়ার পক্ষে হেডে সমতাসূচক গোলটি করেন ইয়েরি মিনা। এ গোলটি করেন ম্যাচের যোগ করা সময়ে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ম্যাচের যোগ করা সময়ে হেড থেকে করা ৯৯তম গোল এটি।
৩. রাশিয়া বিশ্বকাপে ৩ গোল করলেন কলম্বিয়ার ডিফেন্ডার ইয়েরি মিনা। আর এ সবক’টি গোলই করেন হেডে। ২০০২’র জাপান-কোরিয়া বিশ্বকাপে জার্মানির স্ট্রাইকার মিরোস্লাভ ক্লোসা হেডে করেছিলেন ৫ গোল। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক আসরে এটিই কোনো খেলোয়াড়ের হেডে করা সর্বাধিক গোলের রেকর্ড। ক্লোসার পর এই প্রথম হেডে এক আসরে সর্বোচ্চ গোল করলেন মিনা।
৬. এ ম্যাচে ইংল্যান্ডের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন। এবারের আসরে এটা তার ৬ষ্ঠ গোল। যা এখন পর্যন্ত এবারের বিশ্বকাপে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। টানা তিন ম্যাচে ৬ গোলের কীর্তি গড়েন তিনি।
৬. কলম্বিয়ার বিপক্ষে ৬ বারের দেখায় সবক’টিতেই অপরাজিত থাকলো ইংল্যান্ড। এরমধ্যে ৪ ম্যাচে জয়, ড্র ২টিতে।
৯২:৩৩. এদিন নির্ধারিত সময়ে এগিয়ে থাকার পর ৯২:৩৩ মিনিটে গোল হজম করে ইংল্যান্ড। নিজেদের বিশ্বকাপের ইতিহাসে ম্যাচের যোগ করা সময়ে এই প্রথম গোল হজম করলো ইংল্যান্ড।
১৯৯৮. এ ম্যাচে টাইব্রেকারে কলম্বিয়ার পঞ্চম শটটি রুখে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। ১৯৯৮’র বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ডেভিড সিম্যান পেনাল্টি রুখে দিয়েছিলেন। এরপর পিকফোর্ডই প্রথম কোনো ইংলিশ গোলরক্ষক যিনি বড় কোনো টুর্নামেন্টে পেনাল্টি রুখে দেয়ার কৃতিত্ব দেখালেন।