কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচে আগামীকাল ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে উরুগুয়ে। আর লড়াইয়ে নামার আগে উরুগুয়ের স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ বলেন, জিততে হলে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে আটকাতে হবে। এমবাপ্পেকে থামাতে উরুগুয়ের দুর্দান্ত রক্ষণভাগের ওপর ভরসা রাখছেন এই বার্সেলোনা স্ট্রাইকার। মঙ্গলবার অনুশীলন শেষে এক সাক্ষাৎকারে সুয়ারেস বলেন, এমবাপ্পে সম্পর্কে সবাই জানে যে, সে আসলেই ভালো একজন খেলোয়াড়। সে অনেকটা থিয়েরি অঁরির মতো খেলে। কোয়ার্টারে ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নামবো আমরা। আর এ ম্যাচের ফ্রান্সের জয়ের নায়ক হতে পারেন এমবাপ্পে। তাই আমাদের এ ম্যাচ জিততে হলে আগে এমবাপ্পেকে আটকাতে হবে।
কিন্তু আমি মনে করি, তাকে আটকানোর মতো ভালো রক্ষণভাগ রয়েছে আমাদের। শুধু এমবাপ্পে নয়, পুরো ফ্রান্স দলকে আটকানোর মতো রক্ষণভাগ রয়েছে আমাদের। এমবাপ্পে ছাড়াও ফ্রান্সের আক্রমণভাগে রয়েছেন আন্তোইন গ্রিজম্যান ও অলিভিয়ের জিরুর মতো তারকা। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে গ্রিজম্যানের সঙ্গে খেলেন উরুগুয়ের দুই ডিফেন্ডার দিয়েগো গদিন ও হোসে মারিয়া হিমেনেস। ক্লাব সতীর্থদের মুখোমুখি হওয়া নিয়ে গতকাল গ্রিজম্যান বলেন, উরুগুয়ে খুব ভালো একটি দল। তাদের সামর্থ্য সম্পর্কে সবার ধারণা রয়েছে। গদিন খুব ভালো একজন ডিফেন্ডার। তার প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। আশা করছি দুর্দান্ত একটি ম্যাচ হবে। তবে মাঠে লড়াই শুরু হলে কেউ কাউকে ছাড় দিবে না বলে মনে করেন সুয়ারেস। তিনি বলেন, সে (গ্রিজম্যান) জানে এটা বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে ভিন্ন মানসিকতা নিয়ে সবাই খেলে। আমরা জানি, এটা আমাদের জন্য একটি বিশেষ ম্যাচ। তবে তার ব্যাপারটা জানি না। সে আসলেই ভালো খেলোয়াড় এবং বাঁ পায়ে চমৎকার খেলে। এমবাপ্পে-গ্রিজম্যানদের মাঠে আটকানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানান উরুগুয়ের মিডফিল্ডার দিয়েগো লাক্সাল//। তিনি বলেন, আমরা জানি ফ্রান্সের আক্রমণভাগ অনেক শক্তিশালী। আর আমরাও তাদের আটকানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছি। আমি মনে করি, আমাদের অনেক আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নিয়ে খেলতে নামা প্রয়োজন। রক্ষণভাগ জমাট রাখতে হবে এবং তাদের খেলার জায়গা কম দিতে হবে, যাতে তারা গতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিতে না পারে। গত শনিবার শেষ ষোলো’র ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ৪-৩ গোলে হারায় ফরাসিরা। এ ম্যাচে জোড়া গোল করেন এমবাপ্পে। অন্যদিকে পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে ওঠে উরুগুয়ে। এবারের আসরে উরুগুয়ের রক্ষণভাগ দারুণ দৃঢ়তার পরিচয় দিচ্ছে। চার ম্যাচে মাত্র ১ গোল হজম করেছে তারা। আর এমবাপ্পেও রয়েছেন দারুণ ছন্দে। ১৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড এরই মধ্যে করেছেন ৩ গোল।