× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দেশের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত নাইজেরিয়ার অধিনায়ক

ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯

মানবজমিন ডেস্ক
৫ জুলাই ২০১৮, বৃহস্পতিবার

সাত বছরের মধ্যে দুইবার অপহৃত হয়েছেন নাইজেরিয়া ফুটবল দলের অধিনায়ক জন মাইকেল ওবির পিতা। সর্বশেষ তাকে অপহরণ করা হয় বিশ্বকাপে নাইজেরিয়া-আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হওয়ার ঠিক আগে আগে। ওবি এখন বলছেন, দেশের নিরাপত্তার অবস্থা ভীতিজনক। বিবিসির খবরে বলা হয়, ২৬শে জুন ওবির পিতা ও তার গাড়িচালককে বন্দুকের মুখে অপহরণ করা হয়। পরে সোমবার তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে আর্জেন্টিনার সঙ্গে নাইজেরিয়ার খেলা শুরুর চার ঘণ্টা আগে পিতাকে অপহরণের খবর পান ওবি। তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আমাকে পিতা হারানোর আতঙ্ক নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়েছে। এটা বেশ ভীতিকর।
আজকে আমার পিতার সঙ্গে এটা হলো, কালকে হয়তো অন্য কারও সঙ্গে হবে। আমি ভীষণ ভয়ে আছি।’
এই নাইজেরিয়ান অধিনায়ক এক সময় খেলেছেন ইংলিশ ক্লাব চেলসির মিডফিল্ডার হিসেবে। বর্তমানে তিনি চীনা ক্লাব তিয়ানজিন তেদাতে খেলেন। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামতে সেইন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে বাসে করে যাওয়ার পথেই পিতার অপহরণের সংবাদ পান তিনি। এরপর তাকে একটি বিশেষ নম্বরে অপহরণকারীদের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়। কিন্তু তখন দলের কাউকেই বিষয়টি বলেননি পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ১
তিনি। কারণ হিসেবে ওবি বলেছেন, খেলার আগে কারও মনোসংযোগ নষ্ট করতে চাননি। ওবি পরে বিবিসিকে বলেন, ‘দেশের কিছু অঞ্চলে ধারাবাহিকভাবে সন্ত্রাসী হামলা হতে দেখেছি। এর ফলে নাগরিকদের মধ্যে এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতার বোধ জন্ম নিয়েছে। নাইজেরিয়ায় আপনার সামাজিক মর্যাদা যা-ই হোক না কেন, সবারই নিরাপদ বোধ করার অধিকার আছে।’ মূলত, পুলিশ ও অপহরণকারীদের মধ্যে বন্দুক লড়াইয়ের পর ওবির পিতাকে উদ্ধার করা হয়। তবে কিছু খবরে বলা হয়েছে, অপহরণকারীদের প্রায় ১ কোটি নাইরা বা ২১ হাজার ডলার পরিশোধ করেছেন তিনি। এর আগে ২০১১ সালের আগস্টেও ওবির পিতা অপহৃত হন। ওই সময় ওবি চেলসির হয়ে খেলছিলেন। ২০১৩ সালের আফ্রিকা কাপজয়ী নাইজেরিয়া দলের এই সদস্য সরকারের প্রতি দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘নাইজেরিয়ায় জীবনধারণ ইতিমধ্যে কঠিন হয়ে গেছে মানুষের জন্য। বেঁচে থাকার তাগিদে মানুষকে যখন উপায় খুঁজতে হয় নিত্য, তখনই তাদের নিজের জান নিয়ে ভয়ের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। দেশে এই ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার পরিস্থিতি যারা তৈরি করছে, তাদের বিরুদ্ধে বিরামহীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে আমি সরকারকে আহ্বান জানাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার পিতা আঘাত পেয়েছেন। নির্যাতিত হয়েছেন। এটি অগ্রহণযোগ্য। আমি আশা করি কর্তৃপক্ষ দায়ীদের বিচারের কাঠকড়ায় দাঁড় করাতে আরও জোরেশোরে কাজ করবেন।’
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা এবেরে আমারাইজু বলেন, ‘অপহরণকারীরা প্রথমে ১ কোটি নাইরা দাবি করে। পরে পুলিশ সদস্যরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। উদ্ধারাভিযানের সময় অপহরণকারীদের সঙ্গে পুলিশের গুলিবিনিময় হয়। পরে তারা বনের ভেতর অপহৃতদের রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।’
নাইজেরিয়ায় কোনো ফুটবলারের আত্মীয় অপহৃত হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এভারটন দলের সাবেক ডিফেন্ডার জোসেফ ইউবোর ভাইকেও ২০০৮ সালে অপহরণ করা হয়। দুই সপ্তাহ পর তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর