গুহার ভেতর আটকে পড়া ১২ টিনেজ ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধারে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের। প্রতিকূল পরিবেশের কারণে তারা কিছুতেই আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে পারছেন না। চেষ্টা করা হচ্ছে নানা রকম পন্থা। কিন্তু গুহার মুখ থেকে প্রায় ১.২ মাইল ভেতরে গিয়ে বন্যার পানিতে আটকে পড়া এসব টিনেজ ও তাদের কোচকে উদ্ধার করতে রীতিমতো এক যুদ্ধের মতো প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এদেরকে উদ্ধার করতে কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে। ওদিকে কয়েকদিনের মধ্যে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। যদি তা-ই হয় তাহলে গুহার ভেতরে পানির স্তর বৃদ্ধি পাবে। এতে যেখানে ওই গ্রুপটি আশ্রয় নিয়েছে সেই স্থানটিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
তাছাড়া উদ্ধার অভিযান তো ব্যাহত হবেই। চিয়াং রাইয়ের ওই এলাকাটিতে গত দু’একদিন ধরে শুষ্ক আবহাওয়া দেখা দিয়েছে। ফলে এই সুযোগটিকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারীরা। চিয়াং রাইয়ের গভর্নর নারোঙসাক ওসোথানাকর্ন বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আটকে পড়াদের উদ্ধারে আমরা সময়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছি। এখন আমরা লড়াই করছি পানির সঙ্গে। থাইল্যান্ডের নেভি সিলের সদস্যরা এসব বালককে এখন লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে পানির ওপর দিয়ে যতটা সম্ভব ভাসিয়ে বের করে আনার পরিকল্পনা নিয়েছেন। নারোঙসাক ওসোথানাকর্ন আরো বলেছেন, ওই গুহার ভেতরে টেলিফোন লাইন বসানো হয়েছে। ওইসব বালক তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে। ফলে পরিবারের সদস্যরা কিছুটা স্বস্তিতে আছেন। দীর্ঘ ওই গুহার ভেতর একটি নতুন ফোন নেয়া হয়েছে। এর আগে একটি ডিভাইস পানিতে পড়ে যায়। ফলে উদ্ধার কাজে বিঘ্ন ঘটে। যদি লম্বা সময়ের জন্য বৃষ্টি থেমে যায় তাহলে একটি সম্ভাব্যতা সৃষ্টি হবে। এতে গ্রুপের সদস্যরা থাম লুয়াং গুহার ভেতর থেকে বের হয়ে আসতে পারবে হয়তো। তা না হলে তাদেরকে ডুবুরিদের মতো ডাইভ করে বা ডুব দিয়ে সেখান থেকে বের হয়ে আসতে হতে পারে। গ্রুপটি যেখানে আটকে পড়েছে গুহার প্রবেশ মুখ থেকে সেখানে যাতায়াতে সময় লাগে মোট ১১ ঘণ্টা। ভেতরে তাদের কাছে প্রবেশ করতে ৬ ঘণ্টা এবং বের হয়ে আসতে ৫ ঘণ্টা। তবে আটকে পড়া টিনেজারদের অনেকেই সাঁতার জানে না। তাই তাদের সবাইকে সাঁতারে দক্ষ করে তুলতে হবে প্রশিক্ষণ দিয়ে। তারপরই তাদেরকে বের করে আনা সম্ভব। তবে উদ্ধারকারী দলটি তীব্র বিরূপ পরিবেশে কাজ করছে।