সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্রোহীদের ওপর সরকারি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। ক্রমাগত বিমান হামলায় সেখানকার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। বুধবার বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর হামলা আরো জোরদার করেছে সরকারি বাহিনী। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
খবরে বলা হয়, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার ডেরায় রাশিয়া ও সিরিয়ান সেনাবাহিনীর হামলায় গত কয়েকদিনে প্রায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছে। সেখান থেকে হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে অন্যত্র পাড়ি জমিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, রাশিয়া ও সিরিয়ার যুদ্ধবিমান ডেরায় রাতভর শ’ শ’ ক্ষেপণাস্ত্র এবং বোমা হামলা চালায়। এ হামলা মূলত রাশিয়ার শান্তিচুক্তিতে সায় না দেয়ায় বিদ্রোহীদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়ার একটা প্রচেষ্টা। সেখানকার অধিবাসী সামের হোমসাই বলেন, পরিবারসহ তিনি একটি গাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন।
তারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের কাছে খাওয়ার পানি নেই, আশপাশে কোনো চিকিৎসা সেবার সুযোগও নেই। পর্যবেক্ষক সংস্থাটি বলেছে, এখনো নিকটস্থ তাফাস শহর ও জর্ডান সীমান্তে থাকা গ্রামগুলোতে ক্রমাগত হামলা চালানো হচ্ছে। সেখানকার সাইদা শহরে সরকারি বাহিনীর হামলায় একজন নারী ও ৪ শিশুসহ মোট ৬ জন নিহত হয়েছে। ২০১৫ সালে সিরিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার যোগ দেয়ার পরে দেশটির বেশির ভাগ এলাকা সিরিয়ান সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। এখন সরকারি বাহিনী সিরিয়ার দক্ষিণে জর্ডান সীমান্ত সংলগ্ন বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ডেরা ও কুনেইত্রা প্রদেশ উদ্ধারে মনোযোগ দিয়েছে। ১৯শে জুন শুরু হওয়া এ অভিযানে এ পর্যন্ত অন্তত ১৫০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে চলমান যুদ্ধের কারণে জর্ডান সীমান্ত এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।