১৯৯৪ বিশ্বকাপের পর প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নামছে সুইডেন। প্রতিপক্ষ এবারের আসরের অন্যতম ফেভারিট ইংল্যান্ড। কলম্বিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে জিতে শেষ আটের টিকিট কাটে হ্যারি কেইনের দল। ইংলিশদের সামনে আরো একটি কঠিন ম্যাচ অপেক্ষা করছে বলে আগাম হুঙ্কার দিয়ে রাখলো সুইডিশরা। আগামীকাল সামারা অ্যারেনায় সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও সুইডেন। ইংলিশদের আক্রমণ রুখতে প্রস্তুত সুইডিশ ডিফেন্স। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা সুইডিশ ডিফেন্ডার ভিক্টর লিনডেলফ বলেন, ‘আমরা ভালো দলের বিপক্ষে খেলেছি এবং প্রতিপক্ষের কঠিন সময় গেছে। আমাদের খেলা যে কোনো দলের জন্য কঠিন।
ডিফেন্সে আমরা খুবই ভালো এবং ডি-বক্স সীমানায় জায়গা পাওয়া কঠিন। আমাদের ডিফেন্স ভেদ করে গোল করা প্রতিপক্ষের জন্য মোটেও সহজ হবে না। নিজেদের প্রতি আমাদের শতভাগ বিশ্বাস রয়েছে।’ দ্বিতীয় রাউন্ডে সুইজারল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে মাঠ ছাড়ে সুইডেন। কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেই সন্তুষ্ট থাকতে চায় না সুইডিশরা। ম্যাচ শেষে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন কোচ জ্যান অ্যান্ডারসন। তিনি বলেন, ‘এখন পরবর্তী ধাপে পা রাখার সময়। আমরা এ পর্যন্ত এসেই সন্তুষ্ট নই।
পরবর্তী ম্যাচও জিততে চাই।’ সুইডেন ম্যাচ যে কতটা কঠিন হতে পারে সে ব্যাপারে সতর্ক করেছেন সাবেক ইংলিশ কোচ সেভেন গোরান এরিকসন। তিনি বলেন, ‘আমার মতে সুইডেনের চেয়ে ব্রাজিলকে হারানো ইংল্যান্ডের জন্য সহজ হবে। সুইডেন এখন খুবই কঠিন দল। ডিফেন্সের প্রয়োজনে তাদের স্ট্রাইকাররাও ডিফেন্ডার ভূমিকায় খেলে। তারা তাদের ডি-বক্স খুব ভালোভাবে সুরক্ষিত রাখতে পারে। তাদের রানিং, প্রতিশ্রুতি, শারীরিক পরিশ্রম অবিশ্বাস্য। ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালে ওঠার দারুণ সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ইংল্যান্ড দলের কেউ যদি ভাবে সহজে তারা ম্যাচটি জিতে যাবে তবে ভুল করবে। ইংল্যান্ড এবার সবচেয়ে কঠিন ম্যাচের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। তারা এ নিয়ে বাজি ধরতে পারে।’ গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ড ও সুইডেন দুইদলই ২ জয় ও ১ ম্যাচে হার দেখে। বিশ্বকাপের গত দুই আসরের বাছাইপর্বে বাদ পড়া সুইডেন এবার দারুণ খেলছে। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে বিদায় নেয় ৬৬’র চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
বিশ্বকাপে এর আগে দুইবার মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড ও সুইডেন। ২০০২ ও ২০০৬ আসরের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ দুইটি (১-১ ও ২-২) সমতায় শেষ হয়। সব মিলিয়ে সুইডেনের বিপক্ষে ২৪ বারের দেখায় ৮ জয়, ৯ ড্র ও ৭ ম্যাচে হার দেখে ইংল্যান্ড।