গ্রুপ পর্বে নাইজেরিয়া ও আর্জেন্টিনা ম্যাচে গ্যালারিতে অসঙ্গত আচরণের জন্য দিয়েগো ম্যারাডোনাকে সতর্ক করে দিয়েছিল আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা (ফিফা)। এবার রেফারির সমালোচনা করায় আর্জেন্টিনার এই কিংবদন্তি ফুটবলারকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ইংল্যান্ড-কলম্বিয়া ম্যাচের রেফারি মার্ক গিজারের কড়া সমালোচনা করেছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। তার মন্তব্য ‘সম্পূর্ণ অসঙ্গত এবং পুরোপুরি ভিত্তিহীন’ বলে প্রতিবাদ জানিয়েছে ফিফা। আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপে শিরোপা এনে দেয়া ম্যারাডোনা রাশিয়ায় এসে নানা কর্মকাণ্ডের জন্য শিরোনাম হচ্ছেন। কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ইংল্যান্ডের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার পর রেফারিকে অভিযুক্ত করে ভেনেজুয়েলার একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, কলম্বিয়া ডাকাতির শিকার হয়েছে। পরে ফিফা এক বিবৃতিতে জানায়, কলম্বিয়া ও ইংল্যান্ডের ম্যাচটি নিয়ে দিয়েগো ম্যারাডোনার ম্যাচ অফিসিয়ালদের নিয়ে সমালোচনাকে ফিফা তীব্র তিরস্কার জানাচ্ছে। তার মন্তব্য এবং পরোক্ষ ইঙ্গিতগুলো সম্পূর্ণ অসঙ্গত এবং পুরোপরি ভিত্তিহীন।
ফিফা যখন ফুটবলের সব নীতি নিশ্চিত করার জন্য সবকিছু করছে, বিশ্ব জুড়ে যখন এই বিশ্বকাপের সততা এবং মর্যাদা পুরোপুরি সমুন্নত রয়েছে, তখন ফুটবলের ইতিহাস লেখা একজন খেলোয়াড়ের কাছ থেকে এ ধরনের কথায় ফিফা ভীষণ হতাশ। ইংল্যান্ড-কলম্বিয়া ম্যাচে আটটি হলুদ কার্ডের ছয়টি পায় কলম্বিয়ার খেলোয়াড়রা। ওই ম্যাচের পর দলটির ফরোয়ার্ড রাদামেল ফ্যালকাও রেফারির বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলেন। ভেনেজুয়েলার গণমাধ্যম টেলেসুরের কাছে ম্যারাডোনা রেফারি গিজারের সমালোচনা করেন। এছাড়া ফিফার রেফারি কমিটির প্রধান পিয়েরলুইজি কলিনার এ ম্যাচে গিজারকে দায়িত্ব দেয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এ নিয়ে ম্যারাডোনা বলেন, মাঠে আমি একটা পুকুর চুরি দেখলাম। কলম্বিয়ার সব মানুষের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী, কিন্তু এটার জন্য খেলোয়াড়রা দায়ী নয়। এখানে একজন ভদ্রলোক (কলিনা) রয়েছেন, যিনি শুধু গুগলে সার্চ দিয়ে একজন রেফারি পছন্দ করেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিনি এমন রেফারি দিতে পারেন না।