ব্রাজিল-বেলজিয়াম আকর্ষণীয় এক ম্যাচের অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা। শক্তির বিচারে দুই দল কোনো অংশে কম নয়। যদিও ফুটবল ঐতিহ্যে যোজন যোজন এগিয়ে সেলেসাওরা। অতীতে ব্রাজিল ও বেলজিয়াম খুব বেশিবার মুখোমুখি হয়নি। চারবারের দেখায় তিন ম্যাচে ব্রাজিল ও একটিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বেলজিয়াম। ওই একটি জয়ই বেলজিয়ামদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে প্রথম সাক্ষাতেই দুর্দান্ত জয় পায় ইউরোপিয়ান ডার্কহর্স বেলজিয়াম। সেটি অবশ্য ৫৫ বছর আগের কথা।
ব্রাসেলসে ১৯৬৩ সালের এক প্রীতি ম্যাচে জ্যাক স্টোকম্যানের হ্যাটট্রিকে ব্রাজিলকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করে বেলজিয়াম। দুই বছর পর মারাকানায় এর বদলা নেয় হলুদ জার্সিধারীরা। সে ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন পেলে। এরপর ১৯৮৮ সালে তৃতীয়বার দেখা মেলে দুই দলের। এটিও ছিল প্রীতি ম্যাচ। এবার আর একপেশে খেলা দেখতে হয়নি দর্শকদের। বেলজিয়ামে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচটিতে ২-১ গোলের জয় দেখে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল জায়ান্টরা। ব্রাজিলের দুইটি গোলই করেন মিডফিল্ডার জিওভানি সিলভা।
বিশ্বকাপে একবারই মুখোমুখি ব্রাজিল ও বেলজিয়াম। ২০০২ আসরের দ্বিতীয় রাউন্ডে রিভালদো ও রোনাল্ডোর গোলে বেলজিয়ামকে ২-০ ব্যবধানে হারায় ব্রাজিল। এবার রাশিয়া বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে একে অপরকে চ্যালেঞ্জ জানাবে তারা। কাজান অ্যারেনায় আজ রাত ১২টায় হাইভোল্টেজ ম্যাচটি শুরু হবে। বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের সেরা সাফল্য ১৯৮৬ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। মেক্সিকোয় সেবার সেমিফাইনালে দিয়েগো ম্যারাডোনার জোড়া গোলে আর্জেন্টিনার কাছে ২-০ গোলে হার দেখে বেলজিয়ানরা। ২০০২ জাপান-কোরিয়া বিশ্বকাপে শেষবার সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরে ব্রাজিল।