× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অভিবাসীরাই স্বপ্ন দেখাচ্ছে ইংল্যান্ডকে

বাংলাদেশ কর্নার

স্পোর্টস ডেস্ক
৭ জুলাই ২০১৮, শনিবার

অভিবাসীরাই ইংল্যান্ডকে জেতাবে এবারের বিশ্বকাপ! ইংল্যান্ড দলের সর্বশেষ চিত্রটা এমনই। এবারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা অধিকাংশ খেলোয়াড়েরই জন্ম ওই দেশে নয়। বহু সংস্কৃতির ইংল্যান্ড এবারের আসরে শিরোপার দৌড়েই রয়েছে। আর রাশিয়ায় ইংল্যান্ডকে শিরোপার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন দলের অভিবাসী খেলোয়াড়রাই। এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় নামটি হয়তো হ্যারি কেইনের। ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক হ্যারি কেইনের পিতা একজন আইরিশ। ইংল্যান্ড দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই আফ্রিকান, ক্যারিবিয়ান ও আইরিশ বংশোদ্ভূত। এদের কেউ কেউ ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন বাবা-মায়ের সঙ্গে।
বিশ্বকাপের আগে দল গঠন নিয়ে ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট বলেছিলেন, বৈচিত্র্য নিয়ে আমাদের দল গঠন করা হয়েছে। আর এই দলই আমাদের আধুনিক ইংলিশ ফুটবলের রূপকথা রচনা করবে। এই দলের ফরোয়ার্ড রাহিম স্টারলিং। তার জন্ম জ্যামাইকায়। ৫ বছর বয়সে মায়ের সঙ্গে ইংল্যান্ডে এসেছেন তিনি। আর এখানেই বেড়ে ওঠা। ইংল্যান্ডে এসেই অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছিলেন স্টারলিং। শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি এই বিষয়টা কখনোই ভুলব না, যখন আমি ভোর ৫টায় ওঠে আমার মায়ের সঙ্গে স্থানীয় এক হোটেলে টয়লেট পরিষ্কারের কাজ করতে যেতাম। ইংল্যান্ডের বর্তমান কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের জন্ম ইংল্যান্ডে হলেও তার পুর্বপুরুষরা রয়েছেন আইসল্যান্ডে। আর খেলোয়াড়দের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যার জন্ম ইংল্যান্ডে, কিন্তু বেড়ে উঠেছেন অন্যদেশে। আবার এখন খেলছেন ইংল্যান্ডের হয়ে। এর মধ্যে একজন টটেনহ্যাম হটস্পারের মিডফিল্ডার এরিক ডায়ার। রাশিয়ায় শেষ ষোলো রাউন্ডে কলম্বিয়ার বিপক্ষ টাইব্রেকারে জয়সূচক শটটি আসে ডায়ারের পা থেকেই। তার জন্ম ইংল্যান্ডে। কিন্তু তিনি বেড়ে উঠেছেন পর্তুগালে। এ নিয়ে ডায়ার বলেন, যখন আমি ছোট ছিলাম, পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন সেখানেই আমাকে ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য বলেছিল। কিন্তু আমি রাজি হয়নি। আমি মনে করি আমি সত্যিকারের একজন ইংলিশ। এ ছাড়া আফ্রিকার দেশ ঘানা থেকে এসেছেন ফরোয়ার্ড ড্যানি ওয়েলবেক, অ্যাশলি ইয়ং। ড্যানি রোজের বংশধররা রয়েছেন জ্যামাইকায়। অন্যদিকে ফ্যাবিয়ান ডেলফ এবং রুবেন লুফটাস চেকের উত্তরসূরিরা রয়েছেন গায়ানায়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা মার্কাস রাশফোর্ড ও জেসে লিনগার্ডের বাবা মা এসেছেন ক্যারিবিয়ান অঞ্চল সেন্ট কিটস থেকে। আর ডেলে আলির বাবার বাড়ি নাইজেরিয়ায়। আলেকজান্ডার আরনল্ডতো যুক্তরাষ্ট্রের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলেছেনও। এমনকি ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইনের বাবাও একজন আইরিশ। বিভিন্ন জাত ও গোত্রের এই খেলোয়াড়রা এখন একসঙ্গে স্বপ্ন দেখছেন ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর