হ্যারি কেইনকে নিষ্ক্রিয় রাখার পরিকল্পনার নিয়ে মাঠে নামছে সুইডেন। সামারা অ্যারেনায় আজ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে অধিনায়ক হ্যারি কেইনের ইংল্যান্ডকে মোকাবিলা করবে সুইডিশরা। খেলা শুরু হবে রাত ৮টায়। আর ম্যাচের আগে রন সুইডেন অধিনায়ক আন্দ্রেই গ্রাঙ্কভিস্ট বলেন, জিততে হলে ‘গোলমেশিন’ কেইনকে আটকাতে হবে। কেইনের কাছে বলের যোগান ঠেকাতে চান সুইডেনের এই অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার। গ্রাঙ্কভিস্ট বলেন, ‘পেনাল্টি বক্সে হ্যারি কেইন কতটা বিপজ্জনক তা আমরা জানি। ডি-বক্স সীমানায় বিন্দুমাত্র ভুল করা যাবে না। তারা যেন কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারে আমরা সেই চেষ্টাই করবো।’ দ্বিতীয় রাউন্ড পর্যন্ত ৬ গোল নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা ইংলিশ অধিনায়ক কেইন।
গ্রুপ পর্বে পানামার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন ২৪ বছর বয়সী টটেনহাম স্ট্রাইকার। ইংল্যান্ডের আক্রমণ রুখে দেয়ার আগাম হুঙ্কার দিয়ে রাখেন সুইডিশ ডিফেন্ডার ভিক্টর লিনডেলফ। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা এই সেন্টারব্যাক বলেন, ‘আমরা ভালো দলের বিপক্ষে খেলেছি এবং প্রতিপক্ষের কঠিন সময় গেছে। আমাদের বিপক্ষে খেলা যেকোনো দলের জন্য কঠিন। ডিফেন্সে আমরা খুবই ভালো এবং ডি-বক্স সীমানায় জায়গা পাওয়া কঠিন। আমাদের ডিফেন্স ভেদ করে গোল করা প্রতিপক্ষের জন্য মোটেও সহজ হবে না। নিজেদের প্রতি আমাদের শতভাগ বিশ্বাস রয়েছে।’ আত্মবিশ্বাস সুইডেনের অন্যতম চাবিকাঠি বলে উল্লেখ করেন গ্রাঙ্কভিস্ট। তার মতে বিশ্বকাপের ফেভারিটদের সঙ্গে মানের দিক থেকে অন্য দলগুলোর ব্যবধান কমে গেছে। ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইপর্বের নেদারল্যান্ডসকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে থেকে গ্রুপ পর্ব পার করে সুইডিশরা। প্লে-অফে সুইডেনের কাছে হেরেই অঘটনের শিকার হয় চারবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালি। ইংল্যান্ড সুইডেনকে সমীহ করে মাঠে নামবে বলে মনে করেন গ্রাঙ্কভিস্ট। তিনি বলেন, ‘খবরের পাতায় হয়তো আমরা এককভাবে সেরা দল নই। কিন্তু দল হিসেবে আমরা খুবই উচ্চাভিলাষী।’ বিশ্বকাপের গত দুই আসরে বাছাইপর্বে বিদায় নেয় সুইডেন। ১৯৯৪ সালের পর প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নামছে সুইডিশরা। এখানে থামতে চান না সুইডেন কোচ ইয়ান অ্যান্ডারসন। দ্বিতীয় রাউন্ডে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে (১-০) জয়ের পর তিনি বলেন, ‘আনন্দটা আমরা অনুভব করছি। এখন পরবর্তী ধাপে পা রাখার সময়। আমরা কোয়ার্টার ফাইনালে এসেই সন্তুষ্ট থাকতে চাই না। পরবর্তী ম্যাচ জিততে চাই।’