রাশিয়া বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় আর্জেন্টিনার কোচ পরিবর্তনের গুঞ্জন চলছে। বিনা বেতনে জাতীয় দলের ডাগআউটে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। এবার মেসিদের দায়িত্ব নেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন আরেক আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ৬৩ বছর বয়সী মারিও কেম্পেস। স্ট্রাইকার কেম্পেসের নৈপুণ্যেই ১৯৭৮-এ প্রথমবার বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তোলে আলবিসেলেস্তেরা। নিজ দেশে ওই আসরের ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে (৩-১) জোড়া গোল করেন এই আইকনিক স্ট্রাইকার। সেবার টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতা (৬ গোল) হন কেম্পেস। ক্লাব ফুটবলে কোচিং অভিজ্ঞতা নেয়া কেম্পেস বলেন, ‘জাতীয় দলকে সামনে এগিয়ে নেয়া সহজ কাজ নয়। কারণ পুরো দেশ আপনার দিকে তাকিয়ে থাকবে।
কিন্তু আমি আর্জেন্টিনা দলের কোচের দায়িত্ব নিতে রাজি।’ এবারের আসরে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয় মেসির আর্জেন্টিনা। ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকেও ৪-৩ ব্যবধানে হার দেখে গতবারের রানার্সআপরা। দলের ব্যর্থতার দায় কোচ হোর্হে সাম্পাওলির কাঁধে। সাম্পাওলি সরে দাঁড়ানোর কোনো ইঙ্গিত দেননি। বরং থেকে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। গত বছরই এদগার্দো বাউজার জায়গায় আর্জেন্টিনার কোচের দায়িত্ব নেন তিনি। চুক্তির মেয়াদ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ পর্যন্ত। সাম্পাওলিকে বরখাস্ত করলে বড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে আর্জেন্টিনা ফুটবল এসোসিয়েশনকে (এএফএ)। গত একযুগে ৮ বার কোচ পাল্টেছে এএফএ। ম্যারাডোনা ও কেম্পেস তো সরাসরিই কোচ হওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। এছাড়াও পরবর্তী কোচ হিসেবে রিকার্ডো গারিকার নাম শোনা যাচ্ছে। আর্জেন্টাইন কোচ গারিকার হাত ধরে ৩৬ বছর পর এবার বিশ্বকাপ খেলে পেরু। এক ম্যাচ জিতে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিলেও পেরু দারুণ আক্রমণাত্মক পারফরম্যান্স উপহার দেয়। দিয়েগো সিমিওনি ও মাউরিসিও পচেত্তিনির নাম তো সাম্পাওলি কোচ হওয়ার সময়ও আলোচনায় আসে। এই দুই আর্জেন্টাইন সফলতার সঙ্গে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও টটেনহ্যামের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমে এবার বার্সেলোনার সাবেক স্প্যানিয়ার্ড কোচ পেপ গার্দিওলার নামও তুলে ধরা হয়েছে। গত মৌসুমে গার্দিওলার অধীনে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ চ্যাম্পিয়ন হয় ম্যানচেস্টার সিটি।