এই কাজানে আটকে গেছে আর্জেন্টিনা। এখানেই গ্রুপ পর্বে অপমৃত্যু হয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানির। একই স্টেডিয়ামে দুই গতবারের দুই ফাইনালিস্টের বিদায়ে সেলেসাও সমর্থকরাও ভয়ে ছিলেন। মাঠে ডোকার আগেই তাদের চোখে মুখে ছিলো সেই আতঙ্ক। হয়েছেতো তাই। মেসি, ক্রুসদের বিদায়ে মঞ্চ থেকেই বিদায়ের ঘন্টা বাজলো নেইমারে।
অঘটনের রাশিয়া বিশ্বকাপ যেমন মনে থাকবে, মনে থাকবে কাজান এরিনা স্টেডিয়ামটির কথাও। জার্মানির মনে থাকবে, ২৭ জুন কী এক বিভীষিকা ভর করেছিল তাদের ওপর।
এত এত প্রতিভায় ঠাসা দলটি এদিন কাজানে দক্ষিণ কোরিয়ার মতো পুচকে দলের কাছে হেরে গিয়েছিল ২-০ গোলে। ধারেভারে যারা জার্মানি থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার দূরত্বের চেয়েও বেশি দূরে। সেই কোরিয়া যোগ করা সময়ে দুই দুটি গোল জার্মানির জালে পাঠিয়ে রচনা করেছিল ফুটবল বিশ্বকাপের সেরা অঘটনগুলোর একটি। গ্রুপ পর্ব থেকে তল্পিতল্পা গুছিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল জার্মানিকে। ৩০ জুন এই মাঠেই ফ্রান্সের মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা। সেই কাজানেই মেসির মতো একজন মহাতারকাকে হারিয়ে শোকগাথা রচিত করেছিলো ফরাসিরা। ২-১ গোলে এগিয়ে গিয়েও আর্জেন্টিনা হেরেছে ৪-৩ গোলে। মেসির যাত্রা, আগুয়েরো, ডি মারিয়া, ডিবালা, হিগুয়েইন, মাচেরানো, এভার বানেগার বিশ্বকাপ সেদিন শেষ হয়ে গিয়েছিল কাজানে।
সেই কাজান সাক্ষী হলো বিশ্বকাপের আরেক মহা অঘটনের। বেলজিয়াম হয়তো ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে আছে ব্রাজিলের, কিন্তু ইতিহাস, রেকর্ড, ঐতিহ্য ছিল ব্রাজিলের পক্ষে। ব্রাজিল খেলেছেও দাপট নিয়ে। কিন্তু ফুটবল শুধু গোল করার খেলা নয়। গোল না খাওয়ার খেলাও। ব্রাজিলের একের পর এক আক্রমণ নিষ্ফলা হয়ে গেছে বেলজিয়ামের রক্ষণে এসে। আর মহাপ্রাচীর হয়ে ছিলেন একজন। থিবো করতোয়া। কী অবিশ্বাস্য সেভগুলোই না করলেন! যেন একা হারিয়ে দিলেন নেইমারকে!
বিশ্বকাপে টিকে আছে যে ছয়টি দল, তাদের সমর্থকদের জন্য আপাতত সুখবর। এবারের বিশ্বকাপে কাজানে আর কোনো ম্যাচ নেই!