× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘এবার বিশ্বকাপটা আসছে ইংল্যান্ডে’

বিশ্বজমিন

জেমি ডোওয়ার্ড
(৫ বছর আগে) জুলাই ৮, ২০১৮, রবিবার, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন

জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত একটি জাতি। তারা এবারের বিশ্বকাপে নতুন নায়কদের খুঁজে পেয়েছে। এ দলটি হলো ইংল্যান্ড। তাই ইয়র্কশায়ার থেকে টটেনহ্যাম সর্বত্র যে আনন্দের বিস্ফোরণ ঘটেছে। পুরো ইংল্যান্ড যেন এক হয়ে গেছে। ২৮ বছরের ক্ষুধা। সেই ক্ষুধা মিটিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে ইংল্যান্ড। সেই ১৯৯০ সালে প্রথম বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে উঠেছিল তারা।
তারপর এবারই প্রথম। রেফারির চূড়ান্ত বাঁশি বাজতেই ২-০ গোলে বিজয়ী হয় ইংল্যান্ড দল। এটা এক বিস্ময়কর পরিবর্তন। খুব বেশি যে সুসংগঠিত ছিল শুরুতে তেমনটি নয়, তারাই জাতিকে সচেতন করে তুলেছে। ঘুম ভাঙিয়ে দিয়েছে। শেফিল্ডের একটি বার স্পোর্টস লাউঞ্জ। সেখানে জমায়েত হয়েছিলেন কয়েক শত ভক্ত। তারা সেখানে ম্যাচ উপভোগ করেছেন। টেলিভিশন সম্প্রচার মাধ্যমগুলো বলছে এই ম্যাচ উপভোগ করেছে কমপক্ষে ৩ কোটি মানুষ। তারা চিৎকার করে বলেছেন, এবার বিশ্বকাপটা আসছে ইংল্যান্ডে। ভবনের ছাদকে যেন ভেদ করে আনন্দ উল্লাস ছড়িয়ে পড়ছিল বায়ুম-লে। যেন বিদ্যুতস্ফুলিঙ্গ মেঝেতে গড়াগড়ি খাচ্ছিল। যারা এই ম্যাচটি দেখছিলেন তাদের কাছে এটা শুধু ইংল্যান্ডের জন্য জয় নয়। এ জয় ইয়র্কশায়ারেরও। কারণ, ইংল্যান্ড দলের মোট ৬ জন খেলোয়ারই এই ইয়র্কশায়ারের। আর এই ছয় জনের মধ্যে কিলি ওয়াকার, জেমি ভারডি ও হ্যারি মাগুইরের বাড়ি হলো এই ইয়র্কশায়ারের শেফিল্ডে। ফলে এখানে আনন্দের মাত্রাটা অনেক বেশি। ওই বারটিতে একদল বন্ধুকে নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন অ্যানড্রু রাইট। তিনি বলেছেন, শেফিল্ডে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এদিন উপস্থিতি ছিল কম। তারা খেলোয়ারদের উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেছেন, এখন উচিত সব ইয়াং খেলোয়ারদের গড়ে তোলা। কারণ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো তারা কোটি কোটি পাউন্ড দিয়ে একজন নতুন খেলোয়ার নিতে পারে না। অ্যানড্রু রাইটের বন্ধু ম্যাথিউ শেফার্ড। তিনি জোর গুরুত্ব দিয়ে কিছু কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, কিভাবে আলোচনায় না থাকা ইংল্যান্ড টিম তাদের সফলতা দেখিয়েছে। তিনি বলেন, ইংল্যান্ড টিমের অনেকেই খেটে খাওয়া পরিবারের সন্তান। তাদের রয়েছে ‘ওয়ার্কিং ক্লাস ব্যাকগ্রাউন্ড’। তাদের কাছে সমাজ, সম্প্রদায় খুব গুরুত্বপূর্ণ। তারা ডেভিড বেকহ্যাম প্রজন্ম থেকে আলাদা। তাই আনন্দে টটেনহ্যামের এমপি ডেভিড ল্যামি উড়িয়েছেন পতাকা। তিনি ইংল্যান্ড টিমের সফলতায় গর্ব প্রকাশ করেন। বলেন, কেইনের সঙ্গে জাতির উৎসাহ, উদ্দীপনা বৃদ্ধি পেয়েছে। কেইন টটেনহ্যামের ছেলে।
(লন্ডনের অনলাইন দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত লেখার সংক্ষেপিত অনুবাদ)
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর