পানির নিচে বিশ্বে প্রথম জাদুঘর নির্মাণ করব বলিভিয়া। সেদেশের টিটিকাকা নামের একটি হ্রদকে পবিত্র হিসেবে দেখা হয়। সেই হ্রদের পানির নিচে নির্মাণ করা হবে ওই জাদুঘর। দেশটির সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী উইলমা আলানোকা মঙ্গলবার এ ঘোষণা দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে বলা হয়, এর পাতাল থেকে কয়েক হাজার অমূল্য প্রতœতাত্ত্বিক সম্পদ উদ্ধার করা হয়েছে। তারপরই এ ঘোষণা দেয়া হলো। মন্ত্রী বলেছেন, ওই হ্রদের নিচে স্থাপিত জাদুঘরের জন্য স্থানটি একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে।
তা ছাড়া সেখানে দেখা যাবে প্রতœতাত্ত্বিক সম্পদ, ভৌগলিক বিভিন্ন বিষয় ও জীববিজ্ঞান সম্পর্কিত বেশ কিছু গবেষণা থাকবে সেখানে। এর ফলে এটি হবে বিশ্বে একমাত্র এমন জাদুঘর। এটি নির্মাণ করতে খরচ পড়বে এক কোটি ডলার। এতে অংশীদারিত্ব থাকবে বলিভিয়ার উন্নয়ন বিষয়ক এজেন্সি এনাবেল-এর। মন্ত্রী অ্যালানোকা বলেছেন, এই প্রকল্পে ২০ লাখ ডলার অনুদোন দেবে বেলজিয়াম ও ইউনেস্কো। স্থানীয় মানুষের হৃদয়ে টিটিকাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। কিংবদন্তি আছে যে, ঈশ্বরের পুত্র মানকো ক্যাপাক ও তার স্ত্রী মামা ওকলো এই হ্রদের পানি থেকে উত্থিত হয়েছে। ইনকা মিথে আরো একটি কথা প্রচলিত আছে যে, পেরুর কাসকো শহরটি প্রতিষ্ঠা করেছেন মানকো ক্যাপাক। ওই শহর ১৩ থেকে ১৬ শতকের মধ্যে ইনকা সা¤্রাজ্যের ঐতিহাসিক রাজধানী ছিল। উল্লেখ্য, টিটিকাকা হ্রদটির আয়তন ৮৫০০ কিলোমিটার। এটি বলিভিয়া ও পেরু সীমান্ত ছুঁয়ে আছে। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৮০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। বিশ্বে এটিই সর্বোচ্চ উচ্চতায় সুস্বাদু পানির একটি উৎস। বড় জাহাজে করে এর ভিতর বিচরণ করা যায়। এই হ্রদকে কেন্দ্র করে স্থানীয় অনেক সংস্কৃতির জন্ম হয়েছে। সম্প্রতি সেখানে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে পাওয়া গেছে ১০ হাজার প্রতœসম্পদ। এগুলো হাড়, সিরামিক, ধাতব পদার্থ সহ বিভিন্ন জিনিসে তেরি। পাওয়া গেছে মানুষ ও পশুর শরীরের বিভিন্ন অংশ।