× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হারের পরও উৎসব হয়েছে রাশিয়াতে!

ইংল্যান্ড থেকে

স্পোর্টস রিপোর্টার, মস্কো (রাশিয়া) থেকে
৯ জুলাই ২০১৮, সোমবার

ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল হারের পরও উৎসব থামেনি রাশিয়ায়। ম্যাচটি সোচিতে অনুষ্ঠিত হলেও রুশদের উৎসবের কেন্দ্র বিন্দু ছিল মস্কোর সেন্ট্রাল স্কয়ার। ম্যাচ শেষে মধ্য রাতেই মস্কোর সেন্ট্রাল স্কয়ারে জড়ো হতে থাকেন হাজার হাজার রুশ তরুণ তরুণী। এদের বেশির ভাগই খেলা দেখেছেন ফিফা ফ্যান ফেস্টে। যারা বাড়িতে দেখছেন তারাও গাড়ি নিয়ে হাজির হয়েছেন এখানে। যেমনটি হয়েছিল স্পেনকে বিদায় করে দেয়ার পর। রাশিয়া বিশ্বকাপে যে এত দূর যাবে, সেটি কেউ ভাবেনি। এমনকি তাদের সমর্থকেরাও সম্ভবত এতটা আশা করেনি।
তাইতো হারের পরও তারা ‘রাশিয়া’ ‘রাশিয়া’ বলে কোরাস তুলেছে। দলটিকে আবারও কেউ কেউ বীরের মর্যাদা দিচ্ছেন। স্লাভিকা নামে এক তরুণী বলেন, ওরা জান দিয়ে খেলেছে। এই হারে কোনো দুঃখ নেই। আমরা ওদের নিয়ে গর্বিত। এদিকে এই দলটিকে নায়কের মর্যাদা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিনের বরাত দিয়ে তার মুখপাত্র ‘দিমিত্রি পেসকভ জানান, তিনি জানিয়েছেন ওঁরা এখনো আমাদের নায়ক। জীবন দিয়ে খেলেছে, আমরা তাদের নিয়ে গর্বিত।’
বিশ্বকাপে এবার অংশ নেয়া দলগুলোর মধ্যে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে স্বাগতিক রাশিয়াই ছিল তলানিতে। প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতেও সুবিধা করতে পারেনি রাশিয়া। বিশ্বকাপ শুরুর আগের সাত ম্যাচের সাতটিতেই হেরেছিল তারা। এই দল নিয়ে খুব একটা উচ্চাশা ছিল না স্বাগতিকদের। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ তাই অন্তত একটি জয়ের প্রত্যাশা ছিল দলের কাছে। সেই রাশিয়া গ্রুপ পর্বেও শুরুর দুই ম্যাচ কি দুর্দান্তই না খেললো। শেষ ষোলোয় স্পেনের মতো দলকে বিদায় করে সেই রাশিয়া উঠে গেলো কোয়ার্টার ফাইনালে! শুরু হয় রাশিয়ানদেও ফুটবল উন্মাদানা। কোয়ার্টার ফাইনালের দিনতো পুরো রাশিয়াতেই কোনো কাজ হয়নি। সবার দৃষ্টি ছিল খেলার দিকে। সকাল থেকেই খেলা দেখার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন তারা। এদিন সবার হাতে দেখা গেছে রাশিয়ার পতাকা। তাদের মতে শেষ আটেও ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে তারা হারেনি। অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে মোট ১২০ মিনিট ২-২ গোলে সমতায় থাকলেও তারা বাদ পড়েছে টাইব্রেকার ভাগ্যে হেরে। চেরিশেভ-সামেদভদের নিয়ে তাই গর্বিত রাশিয়ান জনগণ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও দেশের জনগণের সঙ্গে একমত হয়েছেন। পুতিনের মতো দারুণ ফুটবল উপহার দিয়েই রাশিয়া এবার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে। এই স্কোয়াডকে ‘নায়কের দল’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বরাবরের মতো এদিনও স্টেডিয়ামের ভিআইপি গ্যালারিতে বসে খেলা দেখন নি পুতিন। সোচিতে মাঠে গিয়ে খেলা না দেখলেও টেলিভিশনের পর্দায় চেরিশেভদের খেলা দেখেছেন বলে জানিয়েছেন পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। এক বিবৃতিতে দিমিত্রি পেসকভ জানান, ‘প্রেসিডেন্ট খেলা দেখেছেন এবং দলকে সমর্থন দিয়ে গেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দারুণ খেলেই আমরা বিদায় নিয়েছি। ওঁরা এখনো আমাদের নায়ক। জীবন দিয়ে খেলেছে, আমরা তাদের নিয়ে গর্বিত।’ জাতীয় দলের পারফরম্যান্সে রাশিয়ার বিরোধী দলের নেতা অ্যালেক্সি নাভালানিও গর্বিত, ‘এমন দলকে নিয়ে পুরো দেশ গর্ব করতে পারে।’
যাদের নিয়ে গর্বিত পুরো রাশিয়া সেই রাশিয়ান ফুটবলাররা টানা দুই ঘণ্টা কান্নাকাটি করেছেন। জানা গেছে সংবাদ সম্মেলনে কথাই বলতে পারেনি দলের ফুটবলাররা। দারুণ পারফরমেন্সের পর মিক্সড জোনেও কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেননি দিমিত্রি চেরিশেভ, আনিকফিভরা। তাদের চোখে মুখে ছিল রাজ্যের হতাশা। তারা কিছুতেই এমন হার মেনে নিতে পারছিলেন না। তবে এখান থেকে রাশিয়ান ফুটবলের যাত্রা শুরু হলো বলে মনে করছেন দলটির কোচ স্লানিলাস চেরশেসোভ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর