× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বৃটিশ রাজনীতিতে ঝড়ের আশঙ্কা, ঝুঁকিতে প্রধানমন্ত্রী

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) জুলাই ১০, ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন

ব্রেক্সিট নিয়ে আবার ঝড় উঠেছে বৃটিশ রাজনীতিতে। এবার প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র মন্ত্রীপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ব্রেক্সিট বিষয়ে দায়িত্ব দেয়া যে মন্ত্রী সেই ডেভিড ডেভিস।  নাটকীয়ভাবে তিনি পদত্যাগ করেছেন। এর ফলে ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ দলের মধ্যে ব্রেক্সিট ইস্যুতে যে চাপা বিদ্রোহ ছিল এতদিনে তা প্রকাশ্যে এলো। এর ফলে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ক্ষমতা হারাতে পারেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের বেরিয়ে আসা নিয়ে তেরেসা মে যে চুক্তি বা পরিকল্পনা নিচ্ছেন তা অনেকটাই নমনীয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এর ফলে আরো কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করতে পারেন বলে আভাস দেয়া হচ্ছে। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বৃটেনকে দাস রাষ্ট্রে পরিণত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। ব্রেক্সিট সম্পন্ন হলে বৃটেনের কি কি ক্ষতি হবে সেসব তুলে ধরেছেন তিনি।
ব্রেক্সিট নিয় কয়েকদিন ধরেই বৃটিশ মন্ত্রীপরিষদে উত্তেজনা বিরাজ করছে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে ব্রেক্সিট বিষয়ক জুনিয়র মন্ত্রী স্টিভ বেকার এবং সুয়েলা ব্রেভারম্যানও সরকার থেকে পদত্যাগ করতে পারেন।

গতকাল সোমবার হাউজ অব কমন্সে বৈঠক হওয়ার কথা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে ব্যাকবেঞ্চারদের তীব্র সমালোচনা ও প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন তেরেসা মে। এটাকে তার জন্য একটি বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। তেরেসা মে বৃটেনকে ব্রেক্সিট সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সঠিক পথে নিয়ে যাচ্ছেন বলে যখন বলা হচ্ছে তখন ডেভিড ডেভিসের পদত্যাগ সেই সম্ভাব্যতার প্রতি কঠোর এক আঘাত হেনেছে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বলা হয়েছে, ডেভিড ডেভিস নিজে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু তিনি প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক জীবনকে এক কঠিন লড়াইয়ের মুখে ফেলে গেলেন। ডেভিড ডেভিস রোববার রাতে পদত্যাগ করেন। এ সময়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’কে বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনকে বের করে আনার ক্ষেত্রে তিনি যেসব নীতি গ্রহণ করেছেন তা অত্যন্ত দুর্বল। সমঝোতা প্রক্রিয়ায় তা গ্রহণযোগ্য নয়। তবে এর দু’দিন আগে ব্রেক্সিট সম্পন্ন করার জন্য মন্ত্রীপরিষদ তেরেসার পরিকল্পনায় সম্মতি দেয়। ফলে এখন বৃটেনের রাজনীতিতে ব্রেক্সিট নিয়ে এক ভয়াবহ কোন্দল সৃষ্টি হতে পারে। তাতে বিপদজনক পর্যায়ে চলে যেতে পারেন তেরেসা মে।  হাউজ অব কমন্সে ঝড় উঠতে পারে। ডেভিড ডেভিস পদত্যাগ করার আগে তেরেসার সমালোচনা করে বলেছেন, তিনি দেশকে বিক্রি করে দিতে পারেন না। ডেভিসের এমন বক্তব্য ও পদত্যাগকে রোববার রাতেই সমর্থন করেছেন কনজার্ভেটিভ পার্টির এমপি জ্যাকব রিস-মগ সহ আরো কয়েকজন এমপি। তবে নিজের দলকে এক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তেরেসা। ইউরোপপন্থিরা তার বিরুদ্ধে একটি কূটকৌশল আঁটছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তারা প্রধানমন্ত্রীকে অনাস্থা বিষয়ক চিঠি (নো কনফিডেন্স লেটারস) দিতে পারেন। যদি তাই হয় এবং এমন ৪৮টি আবেদন আসে তাহলে তেরেসার নেতৃত্ব প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়বে। ওদিকে বিরোধী লেবার দলনেতা জেরেমি করবিন রোববার রাতে বলেছেন, ব্রেক্সিট সম্পন্ন করার কোনো কর্তৃত্বই রাখেন নি তেরেসা এবং তিনি এক্ষেত্রে অপারগ। যদি তেরেসা মে পদত্যাগ করেন তাহলে একটি জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য লড়াই করবে লেবার। তার মধ্য দিয়ে তারা ব্রেক্সিট সমঝোতাকে সামনে এগিয়ে নিতে চায়। তিনি আরো বলেছেন, সরকারে ঝড় উঠেছে। এরপরও যদি প্রধানমন্ত্রী তার পদ ধরে রাখেন স্পষ্টত তা হবে তার নিজস্ব স্বার্থে। সেটা দেশের স্বার্থে নয়। উল্লেখ্য, ডেভিড ডেভিসকে ২০১৬ সালে ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী নিয়োগ করা হয়। তাকে দায়িত্ব দেয়া হয় ব্রেক্সিট সম্পন্ন করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সমঝোতা করার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর