লালমনিরহাটেরর হাতিবান্ধা উপজেলা এলাকায় মাদক সেবন করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন গঙ্গাচড়ার ৩ জন শিক্ষক ও সোনালী ব্যাংকের ২ জন ক্যাশ অফিসার ১ জন পিয়ন। তাদের প্রত্যেককে ৭ দিনের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ঘটনাটির সংবাদ গঙ্গাচড়ায় ছড়িয়ে পড়লে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।
জানা যায়, গঙ্গাচড়া সোনালী ব্যাংকে কর্মরত ক্যাশ অফিসার রায়হানুল করিম ও হাবিবুর রহমান এবং পিয়ন শাহরিয়ার হোসেন সাবু, বাগপুর মাছুম আলী প্রামানিক উচ্চ বিদ্যালয়ের কাব্যতীর্থ শিক্ষক অবিনাশ রায় একই বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মতি চন্দ্র এবং কোলকোন্দ তাকিয়া শরীফ হাফিজিয়া সিনিয়র মাদরাসার কৃষি শিক্ষক আব্দুল হাকিম গত রোববার রাতে হাতিবান্ধা উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের জোসনার বাজারে গিয়ে মাদক সেবন করে উম্মাদনা করছিলেন। এ সময় স্থানীয় জনতা তাদেরকে আটক করে গণধোলাই দেয়। হাতিবান্ধা থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। জনতার হাত থেকে তাদেরকে উদ্ধারের সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি করলে রনজিত নামে এক পথচারীসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে গতকাল সোমবার তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে হাতিবান্ধার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও নুর কুতুবুল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রত্যেকের ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। হাতিবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভ্রামমাণ আদালত তাদের ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে কয়েকদিন আগে গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ কালিগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে ফেন্সিডিলসহ আটক হয়। তার বিরুদ্ধেও কালিগঞ্জ থানায় মামলা হয়।