× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মুখোমুখি

বাংলাদেশ কর্নার

স্পোর্টস ডেস্ক
১১ জুলাই ২০১৮, বুধবার

ইংলিশরা ২৮ বছর পর সেমিতে, অন্যদিকে ক্রোয়াটরা ২০ বছর পর। আর দুই দলেরই সেমিতে তোলার নায়ক তাদের গোলরক্ষক। ২০১৬ উয়েফা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ক্রোয়েশিয়ার হিরো গোলরক্ষক দানিয়েল সুবাসিচ যেমনি রেকর্ড গড়েছেন তেমনি ২৪ বছর বয়সী জর্ডান পিকফোর্ড ইংলিশদের দেখাচ্ছেন ১৯৬৬’র পর বিশ্বকাপ শিরোপার স্বপ্ন। সেমিফাইনালে তাই দুই দলের গোলরক্ষকের কাছে সমর্থকদের প্রত্যাশা থাকবে একটু বেশিই। একটু বেশি চাপ। অভিজ্ঞ সুবাসিচ বনাম তরুণ পিকফোর্ডের মাঠের লড়াইয়ের আগে তাদের সাম্প্রতিক পারফরমেন্স দেখে নেয়া যাক।
পিকবোর্ড: প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলা এ খেলোয়াড় এর আগে কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের অধীনে ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলেছেন। ক্লাব ফুটবলে ২০১৬-১৭তে সান্ডারল্যান্ডের হয়ে খেলার সময় ১৮৫ গোলশটের ১২১টি সেভ করে সবার নজরে আসেন।
২০১৭তে এভারটন ৩০ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে নিজেদের দলে ভিড়ালে সেই মৌসুমে ১৭৬ গোলশটের ১২১টি সেভ করে। তার গোলসেভ করার পারদর্শিতা তাকে জায়গা করে দেয় এবারের বিশ্বকাপে। তার উচ্চতা আদর্শ গোলরক্ষকের (৬ফুট ১ ইঞ্চি) মতো না হলেও কিপিং পারদর্শিতায় সেটা ছাপিয়ে গিয়েছেন। নক আউট পর্বে কলম্বিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি শুট আউটে ২টি অসাধারণ সেভিং দলের জয় এনে দেয়। কোয়ার্টার ফাইনালে সুইডেনের বিপক্ষে পরিষ্কার ২-০ গোলে তার দল জয় পেলেও গোলদাতারা নয়, তিনি কুড়ান ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। দলকে ফাইনালে তুলতে পারলে গর্ডন ব্যাঙ্কসের পর ইংল্যান্ডের হয়ে তিনি পেতে পারেন আসর সেরা গোলরক্ষকের গোল্ডেন গ্লাভস পুরস্কার।
সুবাসিচ: ৩৩ বছর বয়সী এ গোলরক্ষক মোনাকো ক্লাবের হয়ে খেলে। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে এসে গড়েন গোল সেভিং এর রেকর্ড। নকআউট পর্বে ডেনমার্কের বিপক্ষে পেনাল্টি শুট আউটে ৩টি গোল সেভ করে দলকে জয় এনে দেন এবং বিশ্বকাপে নাম লেখান রিকার্দোর সঙ্গে। এর আগে ২০০৬ সালে রিকার্দো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমনটা করেন। কোয়ার্টার ফাইনালে রাশিয়ার বিপক্ষে দুইবার ফাউলের শিকার হলেও পেনাল্টি শুট আউটে ১ গোল সেভ করে দলকে নিয়ে যান সেমিফাইনালে। এবারের বিশ্বকাপে তার সেভিং রেট ৮০। শতাংশ বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের ইতিহাসে এক আসরে ৪টি সেভ দেখানো মাত্র দ্বিতীয় গোলরক্ষক সুবাসিচ। এমন একমাত্র নজিরে ১৯৯০‘র বিশ্বকাপে টাইব্রেকারে দুই ম্যাচে ৪টি শট রুখে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক সার্জিও গায়কোচিয়া।
এবারের বিশ্বকাপে পিকফোর্ড ও সুবাসিচের পরিসংখ্যান -
ম্যাচ খেলার সময় দূরত্ব কভার (কি.মি.) পজিশনে থেকে কভার পাস সেভ
পিকফোর্ড - ৫ ৪৮০ ২৮.৯ ১১.২ ১৬১ ১০
সুবাসিচ- ৪ ৪২০ ১৭.৫ ৬.৫ ১৪৪ ১২
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর