× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফুটবল উন্মাদনায় ফ্রান্সে পদদলিত হয়ে আহত কমপক্ষে ৩০

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) জুলাই ১১, ২০১৮, বুধবার, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন

ফুটবল উন্মাদনায় ফ্রান্সে পদদলিত হয়ে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। গত রাতে সেমি ফাইনালে বেলজিয়ামের সঙ্গে ফ্রান্সের খেলা চলছিল তখন। উপকূলীয় নাইচ শহরের কেন্দ্রীয় এলাকায় একটি জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখছিল বিপুল সংখ্যক মানুষ। অকস্মাৎ সেখানে আতশবাজি ফোটানো হয়। একে বন্দুকের গুলি মনে করে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। লোকজন বেদিশা হয়ে এলোমেলো দৌড়াতে থাকে। এ সময় পায়ের নিচে চাপা পড়ে আহত হয় ওইসব মানুষ। ঘটনাটি ঘটে খেলা শেষ হওয়ার সামান্য আগে।
তখন এমনিতেই ফ্রান্স আনন্দে ভাসতে শুরু করেছে। তারা তখন দিশাহারা। খুশিতে কি করবেন আর কি করবেন না, কেউ বুঝে উঠতে পারছিলেন না। ঠিক এমন সময়ে ওই আতশবাজির শব্দে প্যানিক বা ভীতি সৃষ্টি হয়। শব্দটা বেশ বিকটই ছিল। সঙ্গে সঙ্গে এ নিয়ে ভিড়ের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন নাইচ শহরের কোরস সালেয়া এলাক থেকে যে যেভাবে পারে পালাতে চেষ্টা করে।

চেয়ার, টেবিলের ওপর দিয়ে লাফিয়ে একজন আরেকজনের গায়ের ওপর গিয়ে পড়ে। ওই সময়ের অনেক ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মিডিয়ায়। তাতে দেখা যায় মানুষ তখন বেসামাল। দৌড়াচ্ছে যে যেদিকে পারে। রাস্তায় দেখা যায় অনেক মানুষ সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। তবে কয়েক মিনিটের মধ্যে জরুরি বিভাগের লোকজন গিয়ে উপস্থিত হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই পরিস্থিতি শান্ত হয়। নিশ্চিত করা হয়, কোনো সন্ত্রাসী হামলা হয় নি। বার-এর কাছে আতশবাজি ফোটানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, কমপক্ষে ৬ টি এম্বুলেন্স সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হয়। অল্প আহতদের সেখানেই চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্টেফানি। তিনি স্থানীয় পত্রিকা নাইচ-মাটিন’কে বলেছেন, আমি কোর্টহাউজ স্কয়ারের এক পাশে বসে ছিলাম। যখনই রেফারি শেষ বাঁশি বাজাবেন ঠিক তখনই দেখি মানুষ শুধু দৌড়াচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে তারা কোরস সালেয়া এলাকা থেকে দৌড়ে আসছে। তারা আর্তনাদ করছে। তাদেরকে ভয়ার্ত দেখাচ্ছে। কিছু মানুষ এ সময় বিভিন্ন ভবনে আশ্রয়। আমিও তাদের মতো এক ছাদের নিচে নিজেকে আবিষ্কার করি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর