× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মাদক মামলার আলাদা আদালতের বিষয় ভাবা হচ্ছে

অনলাইন

সংসদ রিপোর্টার
(৫ বছর আগে) জুলাই ১১, ২০১৮, বুধবার, ৭:৩৫ পূর্বাহ্ন

চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের কারনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রামগঞ্জের মানুষ দু’হাত তুলে ধরে মোনাজাত করে দোয়া করছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, আমি গ্রামে-গঞ্জে  যাচ্ছি। গ্রামের প্রত্যেক জায়গাতে সবাই দুই হাত তুলে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করছেন। তারা বলছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ  ঘোষণা করেছেন সেটা যেন অব্যহত থাকে। এই অভিযান যেন বন্ধ না হয়। তিনি বলেন, চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের কারণে বর্তমানে কারাগারে বিপুল পরিমাণ অপরাধী অন্তরীণ। এই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আলাদা আদালত করার প্রয়োজন রয়েছে কি না, সে ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আশা করি, খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত উপনীত হতে পারবো।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিএনএফ প্রেসিডেন্ট এসএম আবুল কালাম আজাদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীসাবার নামে নতুন এক মাদকে আমাদের যুব সমাজ আসক্ত। আমাদের যুবক ছেলে-মেয়েরা এই সীসাবার গ্রহণ  করে। তবে আইনের জটিলতার কারণে আমরা এটা বন্ধ করতে পারছি না। তবে নতুন আইনে সীসাবার নিষিদ্ধ করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। তাছাড়া যেখানেই ক্যাসিনোর সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই পুলিশ অভিযান করছে। পুলিশ অভিযান করে বন্ধ করার প্রচেষ্টা নিচ্ছে। তাছাড়া যেখানেই খুনের ঘটনা ঘটছে আমাদের পুলিশ সেখানে আসামীকে সনাক্ত করতে সক্ষম হচ্ছে। আমাদের সকল আসামী সনাক্ত হয়েছে।

মাদকবিরোধী অভিযানে কারাগারে ধারণক্ষমতার বেশি আসামী
সংরক্ষিত আসনের উম্মে রাজিয়া কাজলের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের কারণে প্রতিদিনই অপরাধীদের ধরা হচ্ছে। দেশের কারাগারের ধারণ ক্ষমতা যেখানে ৩৫ হাজার সেখানে এই মুহুর্তে ৮০ হাজারের অধিক আসামী কারাগারে রয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার পর  থেকেই এই সংখ্যা বাড়ছে। তিনি বলেন, মাদক এমনই এক সর্বনাশা নেশা যাতে আমাদের যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনাকে ঘিরেই আমাদের সর্বাত্মক কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়। মাদকের বিরুদ্ধে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিয়েছি। আমরা  যৌথ তালিকা করে দেখছি কারা এর সঙ্গে জড়িত। তালিকার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। আর  যেখানে অবৈধ ব্যবসা তখনই অবৈধ অস্ত্রের লেনদেন হয়। অবৈধ ব্যবসা ও অপরাধী ধরতে গিয়ে কোন  কোন জায়গায় আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বাধার সন্মুখীন হয়। মাদক ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তা বাহিনীকে আক্রমণ করে বসে। সেগুলো প্রতিহত করছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর