নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি ফ্রান্সের। ১৯৯৮-এ নিজ দেশে আয়োজিত আসরে ব্রাজিলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। এরপর ২০০৬’র জার্মানি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও ইতালির কাছে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় ফরাসিদের। মঙ্গলবার সেমিফাইনালে বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারায় তারা। অন্যদিকে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠার সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হলো বেলজিয়াম। এর আগে ১৯৮৬’র বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল তারা। মঙ্গলবার ফ্রান্স-বেলজিয়াম ম্যাচে এমনই আরো কিছু রেকর্ড হয়েছে, তা নিচে তুলে ধরা হলো:
১. তৃতীয়বার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো ফ্রান্স। এর আগে ১৯৯৮ ও ২০০৬’র আসরে ফাইনাল খেলে তারা।
যা ইউরোপের যে কোন দেশের তৃতীয় সর্বাধিক বার ফাইনালে খেলার রেকর্ড। ইউরোপিয়ানদের মধ্যে সর্বাধিক ৮ বার ফাইনালে খেলার নজির রয়েছে জার্মানির। আর ইতালির রয়েছে ৬ বার।
২. ১৯৯৮-এ প্রথমবার ফাইনালে খেলে ফ্রান্স। আর বিশ্বকাপে শেষ ২০ বছরে এটি তাদের তৃতীয় ফাইনাল। বিশ্বের আর কোনো দলের এমন কৃতিত্ব নেই।
৩. প্রায় দুই বছর পর আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচে হার দেখলো বেলজিয়াম। সর্বশেষ ২০১৬’র সেপ্টেম্বরে স্পেনের কাছে হারে তারা।
৪. বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের বিপক্ষে এ নিয়ে তৃতীয়বার জয় পেলো ফ্রান্স। যা আসরের ইতিহাসে কোনো দলকে সর্বাধিক ম্যাচে হারানোর রেকর্ড।
৫. এবারের বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত গোল হয়েছে ১৫৮টি। এর মধ্যে ৬৯টি গোল হয়েছে সেট পিসে।
৬. এ ম্যাচে ৬৪% বল ছিল বেলজিয়ামের কাছে। তারা ফ্রান্সের গোলপোস্টে শট নিয়েছে ১০ বার। আর ফ্রান্স নিয়েছে ১৯ বার।
৭. ফ্রান্সের হয়ে শেষ ২০ ম্যাচের ২০ গোলে অবদান রয়েছে ফরোয়ার্ড আন্তোইন গ্রিজম্যানের। এর মধ্যে রয়েছে ১২ গোল ৮ অ্যাসিস্ট।
৮. বড় আসরে (বিশ্বকাপ ও ইউরো) ফ্রান্সের শেষ ২০ গোলের ১৩টিতে সরাসরি অবদান গ্রিজম্যানের। এতে তার ৯ গোল ও চার অ্যাসিস্ট।
৯. চলতি আসরে সেমিফাইনালের আগ পর্যন্ত ৬ গোল পেয়েছেন ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন। দ্বিতীয় সর্বাধিক ৫ গোলে অবদান গ্রিজম্যানের। এতে গ্রিজম্যানের রয়েছে ৩ গোল ও ২ অ্যাসিস্ট।