× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাসিক নির্বাচন / শঙ্কায় বিএনপি

শেষের পাতা

আসলাম-উদ-দৌলা, রাজশাহী থেকে
১২ জুলাই ২০১৮, বৃহস্পতিবার

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণার দ্বিতীয় দিনেও দেখা   মেলেনি বিএনপি প্রার্থী সদ্য বিদায়ী মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের কোনো পোস্টার। অংশ নেয়া বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (মতিন) হাবিবুর রহমান হাবিবের কাঁঠাল, ইসলামী আন্দোলনের শরিফুল ইসলামের হাতপাখা ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী মুরাদ মোর্শেদের হাতি মার্কা পোস্টার-ফেস্টুনও ঠাঁই পায় নি। নগরী ছেয়ে গেছে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পোস্টার-ফেস্টুনে। এ বিষয়ে গতকাল আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে পোস্টার-ফেস্টুন টানাতে বাধা ও ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ করেছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। এমন কি পরোয়ানা ছাড়াই দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ বিএনপির। তবে বিএনপির এসব অভিযোগ অপপ্রচার দাবি করে নৌকার মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মাঠে নেমে নিশ্চিত হার বুঝতে পেরে শুরুতেই নানা অভিযোগ তুলছেন ধানের শীষের প্রার্থী।
গতকাল সকাল ৮টা থেকে দুপুর পর্যন্ত কাশিয়াডাঙ্গা, আদুবুড়ি, কাঁঠালবাড়িয়া, সাহজীপাড়া, হারুপুর, সায়েরগাছা, রায়পাড়া, পূর্বপাড়া, গোলজারবাগ, পুরাপাড়া, মুন্সিপাড়া, হড়গ্রাম ও পীরসাহেব পাড়ায় গণসংযোগ করেন বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত নগরী ১৭ ও ১৮ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। এ সময় ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুলবুল দোয়া ও ধানের শীষে ভোট চান।
একই সঙ্গে ধানের শীষের এই মেয়র প্রার্থী নৌকার মেয়রপ্রার্থী লিটনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের নানা অভিযোগ তুলে ধরছেন।
মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, সরকারদলীয় মেয়রপ্রার্থীর পক্ষ থেকে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙ্গাতে বাধা দেয়া হচ্ছে। কোথাও কোথাও টাঙ্গানো পোস্টার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়াও রাতারাতি সব জায়গা দখল করে সরকার দলীয় প্রার্থীর পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে। ধানের শীষের পোস্টার-ফেস্টুন কিংবা ব্যানার লাগানোর কোনো জায়গা রাখা হয় নি।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বুলবুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ধানের শীষে ভোট দিতে নিষেধ করাসহ ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য আমার সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখানোসহ নির্যাতন করা হচ্ছে। কোনো মামলা ছাড়াই দিনে-রাতে আমার নেতাকর্মীদের বাড়িতে সাদা পোশাকে পুলিশ গিয়ে হয়রানি করছে, তাদের আটক করে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করছে।’
জবাবে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মন্তব্য করছেন হার নিশ্চিত জেনে শুরুতেই অপপ্রচার শুরু করেছে বিএনপি প্রার্থী। লিটন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বড় ও সুসংগঠিত দল। নির্বাচন নিয়ে সব পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি তাদের আগে থেকেই ছিল। তাই প্রচার শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই নগরজুড়ে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙাতে দলের নেতাকর্মীরা মাঠে কাজ করছেন। এক রাতেই সব এলাকায় পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে।’ বিএনপির প্রার্থীর পোস্টার- ফেস্টুন ছেঁড়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে লিটন বলেন, ‘রাজশাহী নগরে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন লাগানোর অনেক জায়গা রয়েছে। আসল কথা, হার নিশ্চিত জেনে বিএনপিপ্রার্থী প্রচারের শুরুতেই অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু এবার ভোটাররা বিএনপির অপপ্রচার গ্রহণ করবে না।’
এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে রাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তার অভিযোগের বিষয়ে মহানগর পুলিশকে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তবে নির্বাচনী আরচণবিধি লঙ্ঘনের কোনো অভিযোগ এখন পর্যন্ত পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’
আওয়ামী লীগ-বিএনপির প্রার্থীর প্রচরণার ভিড়ে থেমে থাকেন নি নবাগত প্রার্থীরা। বেলা ১১টায় নগরীর ঐতিহাসিক ভুবনমোহন পার্ক থেকে প্রচারণা শুরু করেন গণসংহতি আন্দোলন সমর্থিত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মুরাদ মোর্শেদ। গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিকে সঙ্গী করে তিনি প্রচারণায় নামেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর