অবশেষে বৃটেন সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তার সেখানে পৌঁছার কথা। কিন্তু তার সফরকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে বেশ নার্ভাস অবস্থায় আছেন। এরই মধ্যে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়ে গেছে। পুলিশের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বড় কোনো অঘটন যাতে না ঘটে, যাতে ট্রাম্পের অবমাননা না হয় সে জন্য নার্ভাসলি প্রস্তুত প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। ট্রাম্পের বৃটেন সফর নিয়ে রিপোর্টে এসব কথা লিখেছে অনলাইন দ্য গার্ডিয়ান। আজই সেখানে মধ্যাহ্নভোজের সময় বৃটেনের মাটি স্পর্শ করার কথা রয়েছে ট্রাম্পের বিমানের।
পুলিশ নিয়েছে সবচেয়ে বড় অপারেশনের প্রস্তুতি। বৃটেনে দাঙ্গার পর এত বড় প্রস্তুতি পুলিশ আর কখনো নেয় নি। হাজার হাজার অফিসারকে নামানো হয়েছে ডিউটিতে। সব শাখা থেকে পুলিশকে ডাকা হয়েছে এ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ প্রতিবাদ হতে পারে মধ্য লন্ডনে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এই দুদিন তিনি বৃটেনে থাকবেন। এ সময় তিনি ওই এলাকা এড়িয়ে চলতে পারেন। তার এই সফরকে নিরাপদ করতে বৃটিশ সরকারের খরচ হচ্ছে ৮০ লাখ থেকে এক কোটি পাউন্ড। পুলিশ ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সিমন কেম্পটনের মতে, এ অভিযানে তাদের ওপর থাকবে প্রচন্ড চাপ। ফায়ারআর্ম, পাবলিক অর্ডার, ট্রাফিক, স্পেশাল এসকর্ট টিম থেকে পুলিশকে ডাকা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় অভিবাসী ও মুসলিম ইস্যুতে যেসব নীতির ঘোষণা দিয়েছিলেন তা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গ বৃটেনেও বিক্ষোভ হয়। তাকে বৃটেনে নিষিদ্ধ করা নিয়ে প্রস্তাব বৃটিশ পার্লামেন্টে দীর্ঘসময় আলোচনা হয়। তবে তা শেষ হয় কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই।