× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মধ্যরাতে থানার সামনে আরিফের অনশন

অনলাইন

ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
(৫ বছর আগে) জুলাই ১২, ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৪:৩০ পূর্বাহ্ন

মধ্যরাতে ফাঁড়ির সামনে ‘অনশন’ করেন সিলেট সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। তিনি তদবির করে থানা থেকে মুক্ত করেন পোস্টার সাঁটানোর কাজে নিয়োজিত আরিফের শ্রমিককে। আরিফ দাবি করেছেন- ক্ষমতার অপব্যহার করে যা ইচ্ছা তা করা হচ্ছে। আর কামরান বলেছেন- আরিফ এ ঘটনা নিয়ে নাটক করছেন। তখন বুধবার মধ্যরাত। সিলেট নগরীর বন্দরবাজারের হাসান মার্কেটের সামনে আরিফুল হক চৌধুরীর নিয়োজিত তিনজন শ্রমিক ধানের শীষের পোস্টার সাটানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তাদের হাতের ছোঁয়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের একটি পোস্টার ছিড়ে যায়।
এ সময় কয়েকজন যুবক এসে আপত্তি জানান কামরানের পোস্টারের স্থানে আরিফের পোস্টার না সাঁটাতে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় উভয়পক্ষের মধ্যে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে পাশে থাকা বন্দরবাজার ফাড়ির পুলিশ এসে লোকমান নামের এক যুবককে ধরে নিয়ে যায়। ওই যুবক হচ্ছে বিএনপি প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর নিয়োজিত শ্রমিক। এদিকে- খবর পেয়ে লোকজন নিয়ে ফাঁড়ির সামনে ছুটে যান আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি ফাড়ির মুল ফটকের সামনে অবস্থান নেন। আরিফ এ সময় দাবি করেন- তার শ্রমিককে পুলিশ মারধর করে থানায় আটকে রেখেছে। তিনি বলেন- তার শ্রমিককে না ছাড়া পর্যন্ত তিনি অবস্থান থেকে উঠবেন না। এ সময় আরিফের সঙ্গে সেখানে বিএনপির নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। এদিকে- গতকাল গনসংযোগ কালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ জানান- বন্দরবাজার এলাকায় তার পোস্টার ছিড়ে ফেলায় স্থানীয় লোকজন এতে প্রতিবাদ করেন। পরে পুলিশ এসে পোস্টার ছেড়ার ঘটনায় এক যুবকে আটক করে নিয়ে যায়। তিনি বিষয়টি জানতেন না। তখন বাসায় ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী তাকে ফোন করে সহযোগিতা কামনা করেন। পরে তিনি সিলেটের কোতোয়ালি থানার ওসিকে ফোন দেন। এবং অনুরোধ করে বলেন- আর যাতে পোস্টার না ছিড়ে সেরকম একটি মুছলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিলে তিনি খুশী হবেন। তার এই কথা রেখেছেন কোতোয়ালি থানার ওসি মোশারফ হোসেন। রাত পৌনে ১ টার দিকে থানা থেকে আরিফুল হক চৌধুরীর নিয়োজিত শ্রমিক লোকমানকে পুলিশ ছেড়ে দেয়। এরপর বন্দরবাজার ফাঁড়ির সামনে থেকে উঠে চলে যান আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, কেন্দ্রীয় নেতা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলী আহমদ, মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি সালেহ আহমদ খসরু সহ সিনিয়র নেতারা। সিলেটের কোতোয়ালী থানার ওসি মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন- ভুল বোঝাবুঝিতে নৌকার পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগে এক যুবককে পুলিশের কাছে তুলে দেয় পথচারী কয়েকজন যুবক। পুলিশ তাকে ফাড়িতে নিয়ে এলে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী তাকে ছাড়াতে আসেন। পরে সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সঙ্গে আলাপ করে তারাই ভুল বোঝাবুঝির সমাধান করেন। এরপর পুলিশ ওই যুবককে ছেড়ে দেয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর