২০০৯-এ দারুণ স্মৃতি ছিল অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। সেবার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দলকে বিদেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয় এনে দিয়েছিলেন। আবারো তার নেতৃত্বে সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজে আরো ভালো কিছু স্বপ্ন ছিল। কিন্তু কে জানতো এবার প্রাপ্তির নাম হবে ‘লজ্জা’! নিজেদের ১৮ বছরের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবার দুই ইনিংসে ২শ’ রান করতেও ব্যর্থ হলো বাংলাদেশ। এমন পারফরমেন্সে ক্যারিবীয়রা গড়ে নিজেদের মাটিতে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে টেস্ট জয়ের রেকর্ড। এককথায় অ্যান্টিগা টেস্ট ছিল টাইগারদের জন্য বিপর্যয়ের আরেক নাম। সেখান থেকে দুঃস্বপ্ন ভুলতে জ্যামাইকাতে এসেছে সাকিবের দল। যেখানে দলের সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম থেকে শুরু করে নূরুল হাসান পর্যন্ত প্রত্যয়ী ঘুরে দাঁড়াতে।
ম্যাচের আগে দলের পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশও দল নিয়ে দারুণ আশাবাদী। তিনিও চান তার নিজের শহরে দ্বিতীয় টেস্টে লড়াই করুক শিষ্যরা। তিনি বলেন, প্রথম টেস্ট খারাপ হয়েছে। আমরা ভালো করতে পারিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভালো খেলছে। তবে দ্বিতীয় টেস্টে আমরা ভালো খেলার ব্যাপারে আশাবাদী।
জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কে আজ সিরিজের দ্বিতীয় ও সিরিজের শেষ টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ইনিংস ও ২১৯ রানের ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। মূলত সবুজ উইকেটে খেলতে ব্যাট করতে না পারার দৈন্যতাই ফুটে উঠেছিল। স্যার ভিভ রিচার্ড স্টেডিয়ামের পর এবার স্যাবাইনা পার্কের উইকেট কেমন হতে যাচ্ছে তা দলের চিন্তার অন্যতম কারণ। তাহলে কি এখানে অ্যান্টিগার মতো উইকেট হচ্ছে? নিজের শহরের উইকেট কেমন তা ভালো করে জানেন ওয়ালশ। তবে অ্যান্টিগার সবুজ উইকেটের আতঙ্ক শিষ্যদের জন্য এখানেও থাকছে তা জানিয়ে দিয়েছেন ওয়ালশ। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজ চাইবে ঐ ধরনের উইকেট বানিয়ে বাংলাদেশকে ফের পরাস্ত করতে। ওয়ালশ বলেন, অবশ্যই অ্যান্টিগার মতো উইকেট প্রত্যাশা করছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের সুবিধামতোই উইকেট বানাবে। এখানেও সিমিং উইকেটের প্রত্যাশা করছি।
তাই বলার অপেক্ষা রাখে না জ্যামাইকাতেও দারুণ চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে সাকিব বাহিনীর জন্য। অবশ্য বোলিং কোচ ওয়ালশ বলে দিয়েছেন কি করতে হবে ঘুরে দাঁড়াতে হলে। তিনি বলেন, ‘বড় পরীক্ষা আমাদের সামনে। এখন ভুলগুলো শুধরে নিয়ে নিজেদের খেলাটা খেলতে হবে।’ প্রথম টেস্টের অন্যতম কারণ ছিল ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা। দলের অন্যতম ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল কোনো অযুহাত না দিয়ে নিজেদের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি তারা করতে চান না আর।