× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যে কোন কিছুর বিনিময়ে ক্ষমতায় থাকতে মরিয়া সরকার: ফখরুল

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৫ বছর আগে) জুলাই ১২, ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:০৪ পূর্বাহ্ন

বর্তমান সরকার দেশে একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তার ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ক্ষমতায় টিকে থাকবার জন্য এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার। এ জন্য তারা কোনো নিয়ম-কানুন, ন্যায়-নীতি ও সংবিধানের তোয়াক্কা করছে না। যে কোন কিছুর বিনিময়ে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চাইছে। গতকাল বিকালে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে রাজধানীর হোটেল লেক সো’রে বিএনপি আয়োজনে এক গোল টেবিল আলোচনায় তিনি এসব অভিযোগ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর ‘রাইট টু লাইফ: এ ফার ক্রাই ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে ১৫ মিনিটের প্রামাণ্য চিত্র উপস্থাপন করা হয়। আন্তর্জাতিক সম্পদায়কে অনুরোধ জানিয়ে মির্জা আলমগীর বলেন, বাংলাদেশে এখন কী হচ্ছে তা নোট করুন। আমরা একটি গণতান্ত্রিক জাতি।
বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল, আমরা গণতন্ত্রের বিশ্বাসী করি। আমি মনে করি, বিএনপিকে ছাড়া কোনো নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে না। বিরোধী দলের ওপর সরকারে নিপীড়নের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, আজকে শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গুম নয় এর বাইরে আমাদের হিসেবে ৫০০’র বেশি নেতৃবৃন্দ হারিয়ে গেছেন। তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের হিসেবে মোট ১০ হাজারের বেশি নেতা-কর্মী রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। কিছুদিন আগে পর্যন্ত সারাদেশে আমাদের নেতাদের বিরুদ্ধে ৭৮ হাজার মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ১৮ লাখ মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া সরকার নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে নানা কৌশলে সম্পূর্ণভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে এবং নির্বাচনের ফলাফলকে নিজেদের করায়ত্ব করছে। মির্জা আলমগীর বলেন, এখন ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না। বিরোধী দলের এজেন্টরা কেন্দ্রে যেতে পারে না। এই সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চিত্র প্রমাণ করে বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, মিথ্যা ও সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে তাকে (খালেদা জিয়া) নির্জন কারাগারে বন্দি করে রেখেছে বর্তমান সরকার। সেখানে তাকে প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বিএনপি মহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও মানবাধিকার বিষয়ক আসাদুজ্জামানের পরিচালনায় আলোচনা সভায়Ñ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম
মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক অ্যাম্বাসেডর সিরাজুল ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট এলিনা খান ও সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মানবাধিকার বিষয়ক সচিব মাইক ক্রেমার, ফ্রান্স দূতাবাসের উপ-প্রধান জ্যাঁ-পিয়ের পঁশে, ভারতের রাজনৈতিক বিভাগের শান্তনু মুখার্জী ও কানাডা, সুইডেন, পাকিস্তান, ইরান, তুর্কি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের কূটনীতিকরা অংশ নেন। সেমিনারে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সেলিমা রহমান, রুহুল আলম চৌধুরী, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, জয়নুল আবেদীন, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, আবদুল কাইয়ুম, প্রফেসর ড. সুকোমল বড়–য়া, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফাহিমা মুন্নী, রুমিন ফারাহানা, সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলালউদ্দিন, সারোয়ার হোসেন, সৈয়দ এজাজ কবীর, জি-নাইন-এর সাধারণ সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ, আহাদ আহমেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর