× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

একটি জাতির কান্না

ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯

মানবজমিন ডেস্ক
১৩ জুলাই ২০১৮, শুক্রবার

কাঁদছে ইংল্যান্ড। এমন পরাজয় তাদের ভাগ্যে ছিল! যেন নিজেদেরকে বিশ্বাসই করতে পারছে না তারা। আমুদে ইংলিশ ভক্তরা তো প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন, এবার বিশ্বকাপটা তাদের। বুধবার রাতে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ শুরুর প্রথম ৫ মিনিটের মধ্যেই যখন ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড তখন যেন ভূমিকম্প হচ্ছিল ইংল্যান্ডে। বড় দিনের চেয়েও বেশি মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল। তারা এ গোলকে সেলিব্রেট করেন যে যেভাবে পারেন। অনেক যুবতীকে দেখা গেছে স্বল্প বসনে নাচছেন আনন্দে। পাব, বার, বারবিকিউ কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।
উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো আনন্দ তরঙ্গ থেকে তরঙ্গের ওপর লাফিয়ে পড়ছিল। প্রথমার্ধে তারা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ড বিজয়ী হচ্ছে। কিন্তু হায়! তাদের সে আনন্দ, উল্লাস শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হয়নি। তারা হেরে গেছে ২-১ গোলে অখ্যাত ক্রোয়েশিয়ার কাছে, যারা এবার বিশ্বকাপে বেশ কয়েকটি বড় অঘটন দেখিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ইংলিশ শিবিরের সেই উত্তাল উত্তেজনা মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়। আনন্দ পরিণত হয় কান্নায়। অঝোরে অশ্রু ঝরাতে থাকেন তারা। কষ্টের সমুদ্রে ডুবে যান তারা। কাউকে দেখা যায় রাস্তার পাশে ক্যানালে লাফিয়ে পড়েছেন মনোকষ্টে। কোথাও দেখা যায় যুবতী এক রাস্তার ওপর বসে আছেন বিমর্ষ হয়ে। পাশে দাঁড়িয়ে তার বন্ধু তাকে দেখছে। এ এক অন্য রকমের বেদনা। রাশিয়ার মস্কোতে অবস্থিত লুঝনিকে স্টেডিয়ামে কোট গ্যারেথ সাউথগেটের স্কোয়াড প্রথম অর্ধাংশে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকায় ইংল্যান্ডে আনন্দের বন্যা বইতে থাকে। লন্ডনের বাতাসে উড়তে থাকে বিয়ার। তার গ্রান যেন ম্যানচেস্টারেও ছড়িয়ে পড়ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় অর্ধাংশে ক্রোয়েশিয়া যখন গোল করে ১-১ সমতা আনে তখন এই আনন্দ থমকে যায়। অজানা এক আতঙ্ক গ্রাস করে ইংলিশ শিবিরকে। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেই সময়ের একেবারে শেষ প্রান্তে এসে ক্রোয়েশিয়া ঘটিয়ে দেয় তাদের সবচেয়ে বড় অঘটন। বল পাঠিয়ে দেয় ইংলিশ জালে। সঙ্গে সঙ্গে এতক্ষণ যে আনন্দ ছিল তা অশ্রু হয়ে ঝরতে তাকে। ইংল্যান্ডের রাস্তায় রাস্তায় হতাশ ভক্তরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এদিন আগেভাগেই ইংল্যান্ডের অফিসগামী মানুষগুলো ঘরে ফিরেছিলেন। তারা বিশ্বকাপ ছোঁয়ার স্বপ্ন নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন রাস্তায়। এদিন উইম্বলডনের চিত্রটি ছিল অন্য রকম। সেখানে গ্যালারিগুলো ছিল ফাঁকা। কারণ, টেনিস নয়। এদিন তাদের টেনেছিল ফুটবল। বৃটেনের লন্ডন, ম্যাচেস্টার, নিউ ক্যাসল, নটিংহ্যাম, লিডস, ব্রিস্টল ও ব্রাইটনের বিভিন্ন স্থানে বসিয়ে দেয়া হয় জায়ান্ট স্ক্রিন। শুধু হাইড পার্কেই জমায়েত হন ৩০ হাজার মানুষ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর