এবারের বিশ্বকাপে মাঠের বাইরে থেকে একজন উজ্জীবিত করে গেছেন ক্রোয়েশিয়াকে। তিনি ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কোলিন্দা গ্রাবার কিতারোভিচ। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ছাড়া ক্রোয়েশিয়ার সব ম্যাচই মাঠে বসে উপভোগ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। ফাইনাল শেষেও দর্শকদের নজর কাড়েন ক্রোয়েশিয়ার আবেগী প্রেসিডেন্ট কিতারোভিচ। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক লুকা মদরিচকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেন অশ্রুসজল প্রেসিডেন্ট। আর ফাইনালে হারলেও ক্রোয়েশিয়া প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠাতেই খুশি তিনি। ফাইনালের আগে আরটি নিউজে দেয়া এক তাৎক্ষণিক বার্তায় কিতারোভিচ বলেন, ‘বিশ্বকাপে আমরা স্বর্ণ জিতলাম নাকি রৌপ্য, সেটা কোনো বিষয় না, আমরা বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে পেরেছি এটাই বড় বিষয়। আমি আমার দেশকে নিয়ে গর্বিত।’
ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ইমানুয়েল ম্যাক্রোর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কিতারোভিচ।
এ সময় দু’দলের খেলোয়াড়দেরই আলিঙ্গন করে শুভকামনা জানান। ১৯৯১ সালে সাবেক রাষ্ট্র যুগোস্লাভিয়া থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে ক্রোয়েশিয়া। আর ২০১৫তে ক্রোয়েশিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন কোলিন্দা গ্রাবার কিতারোভিচ। ৫০ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্টের সবটাতেই চমক। বিশ্বকাপের খেলা দেখতে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে বিমানের ইকোনমি ক্লাসে চেপে রাশিয়ায় পৌঁছেন তিনি। আর গ্যালারিতে দলের সমর্থনে গলা ফাটানো ছাড়াও ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড়দের সঙ্গে নেচে-গেয়ে উদ্যাপন করতে দেখা যায় তাকে।