× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শত শত কোটি ডলারের রপ্তানি /বাইকে ভারতের সবচেয়ে বড় বাজার বাংলাদেশ

এক্সক্লুসিভ

মানবজমিন ডেস্ক
২২ জুলাই ২০১৮, রবিবার

মোটরসাইকেল রপ্তানিতে ভারতের সবচেয়ে বড় বাজার এখন বাংলাদেশ। এ বছরে এই মোটরসাইকেলের চাহিদা বাংলাদেশে বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৫০ ভাগ। এ অর্থ বছরে বাংলাদেশে আসছে ২৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের মোটরসাইকেল। এছাড়া বাস, ট্রাক, যাত্রীবাহী অন্যান্য যান রপ্তানিতে তো আছেই। কোটি কোটি ডলারের এসব যান বাংলাদেশে রপ্তানি করছে ভারত। এখানে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে লড়াই চলছে ভারতের দুটি প্রতিষ্ঠান হিরো ও বাজাজের মধ্যে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন রেডিফ ডট কম। এতে আরো বলা হচ্ছে, এ খাতে সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করছে হিরো মোটো করপোরেশন ও বাজাজ অটো।
এই দুটি ব্র্যান্ড স্থানীয় বাজারের অর্ধেকের মতো নিয়ন্ত্রণ করছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গার্মেন্ট প্রস্তুতকারী বাংলাদেশে অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে। আর তাতে দুই চাকার এই বাহনের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। আর তাতে প্রধান সুবিধাভোগী দেশ হিসেবে উঠে এসেছে ভারত। বাংলাদেশের পরে ভারতের এসব মোটরসাইকেলের চাহিদা রয়েছে শ্রীলঙ্কায়। ২০১৬ অর্থবছর থেকে বাংলাদেশে মোটরসাইকেলের শিপমেন্টের মূল্যমান দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। ওই সময় এর মূল্যমান ছিল ১২ কোটি ৮০ লাখ ডলার। প্রতিবেশী এ দেশের বাজারে নেতৃত্ব কে দেবে তা নিয়ে ভারতীয় ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক রকম লড়াই চলছে। এক্ষেত্রে নেতৃত্বে উঠে এসেছিল বাজাজের। কিন্তু তাদের সেই অবস্থানে এখন হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে হিরো করপোরেশন। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ২৯০০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। এখানে যখন অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে তখন ২০১৭ সালেই মোটরসাইকেলের চাহিদা বেড়ে গেছে শতকরা ৫০ ভাগ। ধারণা করা হয় এ সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডাটা অনুযায়ী, যে তিনটি দেশে ভারতীয় এই মোটরসাইকেল রপ্তানি বৃদ্ধি দুই অঙ্কের হিসেবে শীর্ষে রয়েছে তার মধ্যে শীর্ষ স্থানীয় দেশ একটিই। তা হলো বাংলাদেশ। এর মধ্যে দ্বিতীয় দেশ হলো শ্রীলঙ্কা। সেখানে শিপমেন্ট কমেছে শতকরা ৩.৫ ভাগ। কমে সেখানে ভারতীয় মোটরসাইকেলের রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৬০ লাখ ডলারে। সবচেয়ে বড় বাজারের হিসেবে তৃতীয় অবস্থানে আছে নেপাল। সেখানে শতকরা ৩.৭ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে ভারতীয় মোটরসাইকেলের চাহিদা। সেখানে রপ্তানির  পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। গত বছর বিশ্বের ১৪৫টি দেশে ভারত ২০০ কোটি ডলার মূল্যের মোটরসাইকেল রপ্তানি করেছে। এসব রপ্তানির মধ্যে শতকরা ১৪ ভাগই এসেছে বাংলাদেশে। বাজার কার্যকর করতে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকতে বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে মোটরসাইকেল উৎপাদন করছে হিরো মোটো করপোরেশন। বাংলাদেশের যশোরে হিরো মোটো করপোরেশন এবং নিলয় মোটরস লিমিটেড, বাংলাদেশের মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগে কোম্পানি স্থাপন করা হয়েছে। এর নাম দেয়া হয়েছে এইচএমসিএল নিলয় বাংলাদেশ লিমিটেড (এইচএনবিএল)। এখানে তারল্যের শতকরা ৫৫ ভাগের মালিক হিরো। এই স্থাপনা থেকে গত বছরের জুনে বাণিজ্যিক অপারেশন শুরু হয়। বছরে এখান থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৫০ হাজার ইউনিট। হিরো কোম্পানির বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ অর্থ বছরে এইচএনবিএল ‘আনএডজাস্টেড’ রাজস্ব হয়েছে ৫৪১ কোটি রুপি। এর মধ্যে লাভ হয়েছে ৭৭ কোটি রুপি। শুধু মোটরসাইকেলই নয়। ট্রাক রপ্তানিতেও ভারতের বৃহৎ বাজার হচ্ছে বাংলাদেশ। ২০১৮ অর্থ বছরে বাংলাদেশে তারা ট্রাকের শিপমেন্ট পাঠাচ্ছে ২৩ কোটি ২০ লাখ ডলারের। ভারতের যাত্রীবাহী পরিবহন রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শীর্ষ ২০টি বাজারের অন্যতম। ভারতের বেশ কয়েকটি কোম্পানির রয়েছে বাংলাদেশে তাদের উৎপাদন ইউনিট। বাংলাদেশের নিটল মোটরসের সঙ্গে একটি যৌথ এমন প্রতিষ্ঠান রয়েছে টাটা মোটরসের। তারা বাণিজ্যিক ও যাত্রীবহনের গাড়ি বিক্রি করে থাকে। স্থানীয় অংশীদারের সঙ্গে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক যান অশোক লেল্যান্ডের একটি ইউনিট রয়েছে। অটোমোবাইল শিল্পের বডি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সিয়ামের উপ-মহাপরিচালক সুগত সেন বলেছেন, বাংলাদেশ চায় স্থানীয়ভাবে অটোমোবাইল প্রস্তুতকারী কারখানা। ভারতের কাছ থেকে তারা শিখতে চায়। তারা চায় ভারতীয় কোম্পানিগুলের সঙ্গে আরো বেশি বেশি অংশীদারির ভিত্তিতে স্থানীয় উৎপাদন প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে। বাংলাদেশে এ খাতে ভারতীয় শিল্পের উপস্থিতি কতটা শক্তিশালী তা প্রদর্শন করতে গত বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় প্রথমবারের মতো ইন্দো-বাংলা অটোমোটিভ শো। এর আয়োজক ছিল সিয়াম। এ প্রদর্শনীর দ্বিতীয় পর্ব হওয়ার কথা রয়েছে আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে। ভারতের বার্ষিক রপ্তানির হিসাবে ২০১৮ অর্থ বছরে বাংলাদেশে রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৪৬ কোটি ডলার। এর মধ্যে প্রায় ৬০ কোটি এসেছে মোটরসাইকেল, ট্রাক, যাত্রীবাহী বিভিন্ন যান ও বাস রপ্তানি করে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর