সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগকে বাড়াবাড়ি না করার নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, গতকাল প্রধানমন্ত্রীকে চমৎকার আয়োজনের মাধ্যমে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। সেখানে লাখ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া ছিল যে, তারা মিছিলসহকারে আসলেও যানবাহন চলাচলে যেন কোনো বিঘ্ন না ঘটে। সেভাবেই গতকাল যানবাহন চলেছে। এরপরও যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমরা দুঃখিত। শুধু সরকারি দলই নয়, সকল দলকে জনগণের কথা চিন্তা করে ছুটির দিনে সভা-সমাবেশ করা উচিত।
এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া একটি কঠোর নির্দেশের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে মঞ্চ থেকে নামার সময় ছাত্রলীগ নেতারা এগিয়ে এলে নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) তাদের উদ্দেশে বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ির অনেক অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। এমন কোনো অভিযোগ যেন আর না শুনি। ছাত্রলীগ নেতাদের এ বিষয়ে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী। জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে কোনো শর্তযুক্ত নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হবে স্বাভাবিক নিয়ম মেনে এবং সংবিধানের আলোকে। খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন হবে না বিএনপির এই ঘোষণায় চক্রান্ত, নাশকতা ও ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা করছে সরকার। নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ৪
আসার কোনো সুযোগ নাই। বিএনপির সঙ্গে আলোচনারও আর কোনো সুযোগ নাই। সেতু মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারছে। তবে যদি তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে তা নির্বাচন কমিশনকে বলুন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ইলেকশন কমিশন আরেকটা সংলাপ করবে কি না এবং শুধু বিএনপির সঙ্গেই করবে, না সবার সঙ্গে করবে সেটা ইলেকশন কমিশন ঠিক করবে। বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। এটা তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার যে তারা আসবে কি আসবে না। তিনি আরো বলেন, আমি বারবার একটি কথা বলি, ইলেকশন বিএনপির জন্য একটি দয়ার দান নয়। সরকারি দলের অনুদান নয়। এটা বিএনপির অধিকার। নির্বাচনের সময় সরকারি কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী কোনো প্রার্থীর পক্ষে যেন কাজ না করে এবং কোনো প্রভাব না খাটায় সে ব্যাপারে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।