× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্বপ্ন দেখাচ্ছেন নাভিদ নেওয়াজ

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৩ জুলাই ২০১৮, সোমবার

অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নয়া কোচ নাভিদ নেওয়াজ। শ্রীলঙ্কার এ সাবেক ক্রিকেটার গতকাল থেকে যুব দলকে নিয়ে শুরু করেছেন অনুশীলন। লক্ষ্য ২০২০ বিশ্বকাপের জন্য দলকে প্রস্তুত করা। আর কাজের শুরুতেই তিনি স্বপ্ন দেখাচ্ছেন টাইগার যুবাদের। তার বিশ্বাস এই দল নিয়ে বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব। তাই সেই লক্ষ্যেই তিনি এগিয়ে যেতে চান। যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য তৃতীয় স্থান। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ২০১৬’র অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে থামে ইয়ং টাইগারদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন।
পরে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে তৃতীয় স্থানের গৌরব নিয়ে আসর শেষে করে বাংলাদেশ যুবদল। এরপর এ বছর নিউজিল্যান্ডে খুব একটা ভালো করতে পারেনি দল। ৬ষ্ঠ স্থান নিয়ে ফিরতে হয় সাইফ হাসানের দলকে। এবার বিশ্বকাপের চ্যালেঞ্জ দক্ষিণ আফ্রিকায়। এমন কঠিন কন্ডিশনেও স্বপ্ন বাস্তব করা সম্ভব বলেই জানিয়েছেন নয়া কোচ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের লঙ্কান হেড কোচ নাভিদ নেওয়াজ বলেন, ‘অবশ্যই আমি বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ জেতাতে চাই। বাংলাদেশের যে শক্তিমত্তা রয়েছে তাদের পক্ষে বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব বলে মনে করি। ছেলেদের যথেষ্ট স্কিল রয়েছে। তবে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হলো তাদেরকে কন্ডিশনের জন্য প্রস্তুত করা। সর্বশেষ যখন তারা নিউজিল্যান্ডে খেলেছিল, সেটি বাংলাদেশের থেকে একেবারেই আলাদা ছিল। আর এবার আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলবো। এখানকার কন্ডিশনও বেশ ভিন্ন, সুতরাং তাদেরকে এই কন্ডিশনের জন্য কিভাবে প্রস্তুত করবো সেটাই এখন বড় বিষয়।’
৬ বছর শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে কাজ করেছেন নাভিদ। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কেও ভালো ধারণা রাখেন কারণ ১৯৯০-এর দিকে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে খেলেছেন ভিক্টোরিয়া, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে। তবে দীর্ঘদিন ধরে তরুণদের সঙ্গে কাজ করতে করতে কিভাবে তাদের এগিয়ে নিতে হয় সেটিও বেশ ভালো করে জানেন এ কোচ। যুুবা টাইগারদের দায়িত্ব পাওয়ার পরই তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। তবে বসে থাকেননি। চলে গেছেন খুলনাতে যুব দলের অনুশীলন ম্যাচ দেখার জন্য। এইচপি দলের সঙ্গে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে অনূর্ধ্ব-১৯। সেখানেই তিনি তার শিষ্যদের প্রথম দেখেছেন। নিজের প্রথম অভিজ্ঞতা নিয়ে নয়া কোচ বলেন, ‘খুলনায় ছেলেদের খেলা দেখেছি। তারা কয়েকটি ম্যাচ খেলেছে। একটি ধারণা পেয়েছি। ওখানে ১৫ জন ছেলে ছিল। বাকিদের সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার অপেক্ষায় আছি কম্বিনেশন কি রূপ হবে সেটি জানতে। আমার পরিকল্পনা হবে ২০২০ সালের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে। এর আগে অনেক কাজ করতে হবে টেকনিক্যালি এবং শারীরিকভাবে ওদের ওই টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতও করতে হবে।’
বিশ্বকাপের এখনো প্রায় দুই বছর বাকি। একেবারেই তরুণ একটি দলকে প্রস্তুত করতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যালেঞ্জ নিতে। তাই প্রতিটি মুহূর্তকেই এগিয়ে যাওয়ার কাজে লাগাতে চান নয়া এই কোচ। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন পর্যন্ত হাতে যে সময় আছে সেটা কাজে লাগাতে হবে। নিজেদের সবদিক থেকে প্রস্তুত করতে হবে। আমি আসলেই অনেক রোমাঞ্চিত এই ছেলেদের দায়িত্ব নিতে পেরে। আমি মনে করি এটি অনেক বড় যাত্রা এবং তারা আগামীতে আসলেই অনেক ভালো করবে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর