× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খনির কয়লা উধাও /কয়লার অভাবে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ

দেশ বিদেশ

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
২৩ জুলাই ২০১৮, সোমবার

কয়লার অভাবে দিনাজপুরের পার্বতীপুরস্থ ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল বিকেলে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মানবজমিন কে জানান, তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে ইতিমধ্যে অভার হোলিং কাজের জন্য ১২৫ মেগাওয়াটের ১ নম্বর ইউনিট এবং কয়লার অভাবে ১২৫ মেগাওয়াটের ২ নম্বর ইউনিটটি বন্ধ রয়েছে। কয়লা সংকটের কারণে এতদিন কোনো রকমে ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিটটি চলে আসলেও সোমবার ভোর ৪টা থেকে ৬টার মধ্যে তা বন্ধ হয়ে যায়। তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর প্রভাবে উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুতের ভোল্টেজের সমস্যা দেখা দিবে। তবে তিনি জানান, আগামী আগস্টের শেষ দিকে খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হলে অবস্থা স্বাভাবিক হবে।
এদিকে কয়লা খনির ইয়ার্ড থেকে প্রায় ২২৫ কোটি টাকা মূল্যের এক লাখ ৪২ হাজার টন কয়লার হিসেবে গরমিল হওয়ায় খনির ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তারা হলেন, কয়লা খনির এমডি প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ কে ক্লোজড করে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়, মহাব্যবস্থাপককে (প্রশাসন ও কোম্পানি সচিব) আবুল কাশেম প্রধানিয়াকে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড সিরাজগঞ্জে বদলি এবং খনির জিএম (মাইন অপারেশন) নুরুজ্জামান চৌধুরী ও ডিজিএম (স্টোর) খালেদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
খনি থেকে বিপুল পরিমাণ কয়লার হিসাবে গরমিলের ঘটনা তদন্তে পেট্রোবাংলার পরিচালক (মাইন অপারেশন) মো. কামরুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ই জুন থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভূগর্ভের ২০১০ নম্বর কোল ফেজে কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আপাতত কয়লা উত্তোলন বন্ধ রেখেছে খনি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভূগর্ভের ১৩১৪ নম্বর ফেজ থেকে নতুন করে কয়লা উৎপাদন শুরুর প্রস্তুতি চলছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভূগর্ভে বন্ধ হয়ে যাওয়া ১২১০ নম্বর ফেজে ব্যবহৃত উৎপাদন যন্ত্রপাতি সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে ১৩১৪ নম্বর ফেজে স্থাপন করে পূনরায় কয়লা উৎপাদন শুরু করতে প্রায় দুই মাস সময় লাগতে পারে। ১২১০ নম্বর কোল ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয় গত বছরের নভেম্বর মাসে। বন্ধ হয়ে যাওয়া ওই ফেজ থেকে প্রায় ৫ লাখ ৮৫ হাজার টন কয়লা উত্তোলন করা হয়।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর