× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হাড়ের যত্নে ক্যালশিয়াম

শরীর ও মন

অনলাইন ডেস্ক
৩০ জুলাই ২০১৮, সোমবার

হাড়ের যত্নে দুধ,দই, ছানা নিয়মিত খাওয়া চাই। সেই ধারণা মাথায় রেখেও খাওয়াদাওয়া ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে নতুনভাবে আলোকপাত করলেন কনসালটেন্ট ডায়েটিশিয়ান ঈশানী ব্যানার্জী।

হাড় ভাল রাখতে ক্যালশিয়ামের তো প্রয়োজন আছেই। ফিটাস থেকে ধীরেধীরে যখন বেড়ে উঠতে থাকে শিশু, হাড়ের বৃদ্ধি তো তখন থেকেই শুরু। জন্মের পর সেই প্রয়োজন আরও বাড়তে থাকে। মেয়ে সন্তানের প্রয়োজন তো আরও বেশি। পিউবার্টি, সন্তানের জন্ম দেওয়া ইত্যাদি প্রেক্ষিতে প্রচুর ব্লাড লস, ক্যালশিয়ামের ঘাটতি। তাই ক্যালশিয়ামের দিকে নজর দিতে তো হবেই। তবে আমার বক্তব্য হল শুধুমাত্র খাবার থেকে শরীরে ক্যালশিয়ামের চাহিদা পূরণ হওয়া খুব মুশকিল।
এক গ্লাস দুধ, এক বাটি দই খেলেই ক্যালশিয়ামের চাহিদা মেটে না। এটা আমাদের ভুল ধারণা। কেন জানেন? আমাদের খাবারের মধ্যেই এমন কিছু প্রপার্টি থাকে যা শরীরে ক্যালশিয়াম শোষণে বাধা দেয়।

দ্বিতীয়ত, কীভাবে আমরা খাচ্ছি? সেটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আমরা কেটেকুটে, ধুয়ে তারপর রান্না করছি। সুস্বাদু করার জন্য নানা প্রচেষ্টায় খাবারের কতটুকু পুষ্টিগুণ বজায় থাকছে বলুন তো? রান্না করার সময় উত্তাপে অনেক গুণই নষ্ট হয়ে যায়। তাই শুধুই খাবারের ওপর নির্ভর করলে কেমন করে আমরা আমাদের শরীরের ক্যালশিয়ামের চাহিদা মেটাবো? আমি মনে করি সাপ্লিমেন্টের একান্ত প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে সেইমতো চলা উচিত। তৃতীয়ত,প্রতিটি মানুষ আলাদা। তাঁদের বডি কনস্টিটিউশন আলাদা। তাই সার্বিকভাবে কিছু বলাতে আমি বিশ্বাসই করি না। ব্যক্তিভেদে অঙ্ক কষে, লাইফস্টাইল ও ফুড হ্যাবিট জেনে, ব্লাড টেস্ট ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য পরীক্ষানিরীক্ষা করে তবেই ডায়েট সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়া সম্ভব।

আমার মতে ফার্স্টক্লাস প্রোটিন ডায়েট প্রয়োজন। অ্যানিমাল প্রোটিন। চিকেন খুব জরুরি। মাছও হাইক্লাস প্রোটিন। অ্যালার্জি বা অন্য কোনও ডাক্তারি নিষেধ না থাকলে ডিম খুব পুষ্টিকর। তবে, ওই যে বললাম, রান্নার পদ্ধতি মাথায় রাখতে হবে। ডিম বেশিক্ষণ তাপে রাখলে তার সব গুণ নষ্ট হয়ে যায়। ডিম সেদ্ধ করতে হলে প্যানে জল দিয়ে ডিম দিন। গ্যাস জালুন। জল ফুটে উঠলেই গ্যাস বন্ধ করে ভাল করে ঢাকা দিন। দশ থেকে বারো মিনিট পর ঠান্ডা জলের তলায় রেখে ডিম ধুয়ে নিন। ছাড়িয়ে দেখুন পেলব সাদা অংশ, ভেতরে হলুদ গোল কুসুম, পুষ্টিগুণে ভরপুর। অমলেট করতে হলেও ভেজেভেজে লাল করবেন না, তাতে জিভের তোয়াজ হলেও ডিমের কোনও পুষ্টিই লাভ হবে না আপনার।

আর দরকার সূর্যালোক। ক্যালশিয়াম লেভেল ঠিক রাখতে এর একান্ত প্রয়োজন। নিয়মিত হাঁটা দরকার। আর সাপ্লিমেন্টের কথা তো বললামই। আমাদের খাওয়াদাওয়ার পুষ্টিগুণ, তার ব্যবহার ও আনুষঙ্গিক আরও নানা বিষয়ে সচেতনতা অনেকটাই বাড়ানো দরকার।

সূত্র: সানন্দা

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর