× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নানা কথা

রকমারি

শামীমুল হক
৩ আগস্ট ২০১৮, শুক্রবার

 জানোয়ার ড্রাইভার। ডাকাত ড্রাইভার। নিরাপদ সড়কের দাবিতে যখন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মাঠে, তখনই বুধবার শনিরআখড়ায় সবার চোখের সামনে গাড়ির নিচে চাপা দিয়ে চলে গেল এক ড্রাইভার। একটুও বুক কাঁপেনি ওর। চালক নামের এসব জানোয়ারের পক্ষ নিয়ে এদেশে মন্ত্রীও কথা বলে। হাসি মাখা মুখে সাফাই গায় ভারতে ৩৩ জন মারা গেলেও কোনো  হৈচৈ হয় না বলে দম্ভোক্তি করে। সহপাঠীদের মৃত্যু শোকে যখন শিক্ষার্থীরা রাজপথে তখন মন্ত্রীর এ কথা ওদের বুকে বিঁধে তীরের মতো। ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।
ফেসবুকে নির্লজ্জ হাসি দেখে বুকের আগুন দাউ দাউ জ্বলে ওঠে। নেমে আসে রাজপথে। বিক্ষোভে ফুঁসে উঠে তারা। মনের দুঃখে নিজেরাই নেমেছে গাড়ির কাগজপত্র চেক করতে। ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে। শুধু তাই নয়, যাদের কাগজপত্র নেই তাদের আটকে রেখেছে। ট্রাফিক সার্জেন্ট ডেকে মামলা করিয়েছে। গত দু’দিন ধরে বলতে গেলে শিক্ষার্থীদের দখলে রাজধানীর রাজপথ। এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশজুড়ে। দাবি তাদের যন্ত্রদানবের বিরুদ্ধে। তাদের মুখে উচ্চারিত হয়েছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস। গত রোববার রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসের জন্য অপেক্ষারত শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই ছাত্রছাত্রীকে হত্যা করে। এ ঘটনায় ১২ জন আহত হয়। ওই দিনই সচিবালয়ে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের বক্তব্য-হাসিমুখে দেয়া ভারতের উদাহরণে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের আন্দোলন এমন রূপ ধারণ করেছে। শেষ কথা হলো- আর বসে থাকার সুযোগ নেই। এখনই সরকারের শীর্ষপর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে ঘরে ফিরিয়ে দেয়া দরকার। পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে দ্রুত বসা হোক। সড়ক দুর্ঘটনা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে যা যা করা প্রয়োজন শিগগিরই তা করা হোক। এমন বিমর্ষ, মর্মান্তিক অঘটন আর নয়। দেশে আইন আছে। কিন্তু আইন না মানার খেসারত আর কত দিন দিতে হবে দেশবাসীকে? ছাত্রদের অহিংস আন্দোলন নিয়ে তাইতো ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। এখানেই থেমে গেলে হবে না। কঠোর আইনের বেড়াজালে ফেলতে হবে সড়ক ব্যবস্থাকে। আইনের ফাঁক গলিয়ে যেন তারা বের হতে না পারে কোনোদিন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর