× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্বামীর বয়স ৩০০, স্ত্রীর ৪৫

রকমারি

ষোলো আনা ডেস্ক
৩ আগস্ট ২০১৮, শুক্রবার

আয়ারল্যান্ডে বাস করেন মধ্যবয়স্ক নারী আমান্ডা তেগ, বয়স ৪৫। সম্প্রতি তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তার বয়স ৪৫ হলেও তার স্বামীর বয়স ৩০০। অসম্ভব মনে হলেও এটাকে সম্ভব করেছেন তেগ। এই উদ্ভট ঘটনার কারিগর প্রথমে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন না। কিন্তু যখন সিদ্ধান্ত নিলেন তখন খানিক দেরি করে ফেলেছিলেন তিনি। অনেক ছেলে দেখলেও মনের মতো ছেলে খুঁজে পাচ্ছিলেন না এবং যাকে পছন্দ হতো তিনি তেগকে পছন্দ করতেন না। তেগ বাস করেন এক ভূতুড়ে বাড়িতে একা।
একদিন ঘুমের ভেতরে লক্ষ্য করেন তার পাশে কেউ শুয়ে আছেন, কথা বলছেন। চিমটি কেটে পরখ করেন, না এটা স্বপ্ন নয়। প্রথমে ভয় পেলেও স্বাভাবিক হয়ে যায় ঘটনাটি। তিনি যার সঙ্গে কথা বলতেন তিনি ৩০০ বছর আগে মৃত্যুবরণ করা জ্যাক স্পারো। জ্যাক ছিলেন একজন জলদস্যু। এই বাড়িটি ছিল মূলত জ্যাক পরিবারের। অবিবাহিত জ্যাক সমুদ্রে জাহাজে ডাকাতি করতে গিয়ে হারিয়েছিলেন প্রাণ। দেহ থেকে আত্মা চলে যাওয়ার পর তার আত্মা আশ্রয় নেয় তার নিজের পৈতৃক বাড়িতেই।

জ্যাক ও তেগ দীর্ঘদিন কথা বলার পর তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার চার বছরের মাথায় বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হন তারা, সব নিয়ম কানুন মেনে। আলোচিত এই বিয়ে নিয়ে হৈচৈ সৃষ্টি হয়েছিল আয়ারল্যান্ড জুড়ে। তেগ সপ্তাহখানেকের মধুচন্দ্রিমা শেষে এক সাংবাদিককে বলেন, আমি গর্ভ ধারণে অক্ষম। সেই সঙ্গে যৌন চাহিদা না থাকায় ভূতের সঙ্গে সুখে শান্তিতে ঘর করছি। অন্য নারীর মতো স্বামীর ঘরেই গড়ে উঠেছে আমার সংসার। তেগ আরো বলেন, যারা অলৌকিক ক্ষমতায় বিশ্বাস করেন না তাদের জন্য আমার বিয়ে একটা শক্ত বার্তা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর