× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলাদেশের কিশোরদের আন্দোলনে অনুপ্রাণিত কলকাতার ছাত্ররা

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) আগস্ট ৭, ২০১৮, মঙ্গলবার, ১২:০৮ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের কিশোর ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে আন্দোলিত কলকাতার ছাত্ররাও। সোস্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ছবি ও পোস্ট দেখে কলকাতার ছাত্ররা অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন প্রবল র্চ্চা চলছে বাংলাদেশের কিশোর ছাত্রদের আন্দোলন নিয়ে। রীতিমত গর্বিত হচ্ছেন ছাত্ররা এই আন্দোলন দেখে। কলকাতায় পড়তে আসা বাংলাদেশি ছাত্ররা জোরের সঙ্গে বলছেন তাদের কিশোরভাইদের লড়াইয়ের কথা। ’চলুক লাঠি, টিয়ার গ্যাস পাশে আছি বাংলাদেশ ’ আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক সৈকত শীট বলেছেন, বাংলাদেশের দামাল বাচ্চাগুলি আসলে বলছে জীবনটা না কাটাতে, বরং জীবনটা বাঁচতে। অসম্ভবকে স¤ভব করার আত্মপ্রতিশ্রুতি নিয়ে বাচ্চাগুলি রাস্তা আটকে দিয়ে নতুন পথ খুলে দিচ্ছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ছাত্র নেতা আরও বলেছেন, বাচ্চাগুলি দুর্গন্ধ ছড়ানো সিস্টেমটার বিরুদ্ধে এক একটি মানববোমা।
এই মানবমোমা আজ বাংলাদেশে ফাটছে, কাল এখানে ফাটবে। ফাটবেই।  বাংলাদেশের কিশোর ছাত্রদের আন্দোলনকে অনুপ্রেরণার বলে জানিযেছেন অনেক ছাত্রনেতাই।  তাদের মতে, এমন স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনই প্রয়োজন সমাজ সংস্কারের জন্য। সিপিআইএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের পশ্চিমবঙ্গ কমিটির সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেছেন, এই আন্দোলন বোঝাচ্ছে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে, যে কোনও দিন খেপে উঠতে পারে ছাত্রছাত্রীরা। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষা। তিনি আরও বলেছেন, আগেও যেমন সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে এগিয়ে এসেছে রাজ্যের যুব সমাজ, এ বার হয়তো আরও বেশি সাহস পাবে তারা। ডেমোক্রাটিক স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনের সম্পাদক অশোক মিশ্র মনে করেন, বাংলাদেশের চলমান আন্দোলনের প্রত্রিয়ার প্রভাব আমাদের দেশেও গভীর অনুপ্রেরনার রূপ নেবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র নেতা অভিষেক মুখোপাধ্যায় বলেছেন, বাংলার ছাত্রেরা সব সময়েই জনসাধারণের জন্য লড়তে অভ্যস্ত। সেই ঐতিহ্যকে একটা নতুন মাত্রা দিয়েছে বাংলাদেশের কিশোরেরা। তিনি মনে করেন,, ছাত্র রাজনীতি আরও এক ধাপ এগোল, আমরা সমৃদ্ধ হলাম। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অনন্যা মিত্র কলকাতার মিডিয়াকে বলেছেন, আশা করি শুধু পড়–য়ারা নয়, সকলকেই লড়াই করার শক্তি জোগাবে এই আন্দোলন। একই কথার উচ্চারণ শোনা গেছে, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালযের ছাত্র শুভজিৎ সরকারের কন্ঠে। তিনি বলেছেন, ও দেশের কিশোরেরা তো দেখিয়ে দিল সকলে এগিয়ে এলে কত অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। আমরা পারব না কেন তবে? বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয বিদ্রার্থী পরিষদের নেতা  অরবিন্দ দত্ত মনে করেন, ছাত্রেরা রাজনীতি করলেও তাদের রাজনৈতিক পরিচয়টা যেন একমাত্র না হয়ে ওঠে। ছাত্রদের যে তার চেয়ে অনেক বড় ভূমিকা আছে সমাজে, বাংলাদেশের আন্দোলন এ শহরকেও তা মনে করিয়ে দিয়েছে। আর তাই কলকাতার ছাত্ররা বলতে শুরু করেছে, ‘বাঁচতে শিখার লড়াই হবে, চতুর্দিকে দে খবর।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর