সড়ক নিরাপত্তার দাবিতে ছাত্রবিক্ষোভের সময় কর্তব্যরত ৪০ জন সাংবাদিকের ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের একাংশ। সমাবেশ থেকে আগামী শনিবারের মধ্যেই সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। অন্যথায় আগামী রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রাজপথে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, হত্যা-নির্যাতন ও হামলা চালিয়ে সাংবাদিক সমাজকে স্তব্ধ করা যাবে না। গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করে কোন স্বৈরশাসকের শেষ রক্ষা হয়নি। বিএফইউজের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে ও ডিইউজের সহ-সভাপতি শাহীন হাসনাতের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে মহাসচিব এম. আবদুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস খান, ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাবেক সভাপতি একেএম মহসিন, ডিইউজে বাসস ইউনিটের প্রধান আবুল কালাম মানিক, দিনকাল ইউনিটের ডেপুটি প্রধান রাশেদুল হক, ডিআরইউর সাবেক সহ-সভাপতি জিয়াউল কবীর সুমন, সাবেক অর্থ সম্পাদক কামরুজ্জামান কাজল, ডিইউজে নেতা আল আমীন প্রমুখ বক্তব্য দেন। এছাড়া মিছিলে সাংবাদিক নেতা নূরুল আমিন রোকন, সাদ বিন রাবি, গ্যালমান শফি, জাকির হোসেন, নাসিম শিকদার, কবি রফিক হাসান প্রমুখ অংশ নেন। সমাবেশে রুহুল আমীন গাজী বলেন, সরকার কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যেভাবে প্রতারণা করেছে সেভাবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
সরকার সাংবাদিকদের কলম স্তব্ধ করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চায়। সাংবাদিক সমাজ দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে যে লড়াই করছে তা অব্যাহত থাকবে। এম. আবদুল্লাহ বলেন, চলতি সপ্তাহে পেশাগত দায়িত্বপালন করতে গিয়ে রাজপথে ৪০ জন সাংবাদিকের রক্ত ঝরেছে। বিশ্বব্যাপী ধিক্কার কুড়ানো এ ঘটনায় সরকারের লজ্জিত হওয়া উচিত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রীরা সন্ত্রাসীদের হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, তাদের হুকুমেই হামলা হয়েছে। কাদের গণি চৌধুরী বলেন, সরকারি দলের ক্যাডারদের বর্বরতায় আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। অথচ এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এদিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর বাইরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন, কুমিল্লা জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নÑখুলনা, সাংবাদিক ইউনিয়নের যশোর, বগুড়া, কক্সবাজার, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, গাজীপুর শাখাসহ সারাদেশে সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো একযোগে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।