বর্তমান সরকারের পরিবর্তনে নব্বইয়ের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেছেন, এরশাদের নেতৃত্বাধীন সরকারের পরিবর্তন যখন হয় তার তিনদিন আগেও বুঝা যায়নি, তিনি ক্ষমতাচ্যুত হবেন। সেদিনও এরশাদ কোন একটা ব্রিজ উদ্বোধন করতে গেলে লক্ষাধিক মানুষ হয়েছিলো। সেটা দেখে বুঝা যায়নি তিনদিন পরে তাকে চলে যেতে হবে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে এরশাদ নিজেই বলেছিলেনÑ আমার প্রেসিডেন্টশীপ আপনি ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে গ্রহন করেন। ব্যারিস্টার মওদুদ তিন দলীয় জোটকে ক্ষমতা দেবার জন্য প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের কাছে সেদিন ক্ষমতা দিয়েছিলেন। এসব কিছু কিন্তু কয়েক ঘন্টার মধ্যে করতে হয়েছিলো। তারা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য সেই কাজটা করেছিলো। বাংলাদেশে আবারও সেই অবস্থার সৃষ্টি হবে। জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিশু-কিশোরদের আন্দোলনের সমর্থন নিয়ে সরকারের দুই রকম নীতির সমালোচনা করেন আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, শিশু-কিশোরদের এই আন্দোলন রাজনৈতিক ছিলো না। আমরা এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছি। শেখ হাসিনাও সমর্থন করেছেন, সবাই সমর্থন করেছেন। কিন্তু আমরা যখন সমর্থন করলাম, সেই সমর্থন উস্কানি হয়ে গেলো! আর প্রধানমন্ত্রী, তার মন্ত্রীসভা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যখন সমর্থন করলো তখন উস্কানি হলো না, তা হলো সহযোগিতা। আমরা পরিস্কার বলতে চাইÑ আমরা উস্কানি দেইনি, সহযোগিতা করেছি। উস্কানির কথা বলে যেভাবে আজকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। আমরা মনে করি এই মামলা দূরভিসন্ধিমূলক। অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহার করা হোক। এ সময় দলের চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তিও দাবি করেন প্রবীণ এ রাজনীতিবিদক। সংগঠনের উপদেষ্টা মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা সোয়ায়িব আহমেদ, ব্যারিস্টার ফর চেঞ্জ-এর সভাপতি ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন বক্তব্য দেন।