× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নাগরিক অধিকার /রাগের খেসারত লক্ষ কোটি টাকা

রকমারি

ষোলো আনা ডেস্ক
১০ আগস্ট ২০১৮, শুক্রবার

জাপানের রাজধানী টোকিওর নারিতা বিমানবন্দর। এখানে প্রতিদিন প্রায় ৭শ’ বিমান ওঠা-নামা করে। তবে, এই বিমানবন্দরের রানওয়ের মাঝখানে বিষফোড়ার মতো দাঁড়িয়ে আছে ছোট একটি বাড়ি। বাড়িতে কেউ বসবাস করে না। এই জমির কারণে সমান্তরালে নামতে পারছে না বিমান। বাড়িটি না থাকলে প্রতিদিন ওঠা-নামা করতে পারতো ১২০০ থেকে ১৫০০ বিমান। যার ফলে প্রতিবছর দেশটির লোকসান গুনতে হচ্ছে কয়েক লক্ষ কোটি টাকা। তারপরেও সে বাড়িতে সরকারকে দিতে হচ্ছে বিদ্যুৎ, পানি, টেলিফোন ইত্যাদি সেবা।
১৯৬৬ সাল থেকে সরকার আবদার করে চললেও মন গলেনি বাড়ির মালিকের। বাড়ির স্থানটুকু না দেয়ার কারণ- সরকার তার কাছে অনুমতি না নিয়েই বিমান বন্দরের জন্য স্থানটুকু নির্ধারণ করেছেন। এই রাগেই কেটে গেল এতগুলো বছর কিন্তু কাগজে সই না করায় বাড়ি অক্ষতই রয়েছে সেই জাপানি নাগরিকের।

২০১৫ সাল। টোকিওর মেয়র ইয়োইচি মাসুজো টোকিও অলিম্পিক ২০২০’র প্রস্তুতির জন্য গিয়েছিলেন একটি বিজনেস ট্রিপে। সেই যাত্রায়, ভুলক্রমে নিজের জন্য কেনা সামান্য কিছু জিনিসের মূল্য সরকারি খাতায় অন্তর্ভুক্ত করেন। এই নিয়ে তোলপার শুরু হয়ে যায় জাপান জুড়ে। অর্থের অঙ্ক সামান্য হলেও করের টাকার প্রতি অবহেলা মেনে নিতে নারাজ জনগণ। জনগণ টেলিভিশনে প্রশ্ন তুলছে, যে মেয়র সরকারি অর্থ নিয়ে অবহেলা করে, তার কাছে টোকিও মেট্রোপলিটন কতটুকু নিরাপদ? এই ঘটনার কারণে মেয়রকে জনসম্মুখে চাইতে হয়েছিল ক্ষমা। তিনি টেলিভিশনে বলেন, ‘ক্ষমা করার দায়িত্ব আপনাদের। আপনারা আমাকে ক্ষমা করুণ। এই ভুল আর হবে না।’

জাপানের পাহাড়ের পাদদেশে শহর ফুকুওয়া। এই শহরের ব্যস্ত বিমানবন্দরটিতে প্রতি তিন মিনিটে একটি করে বিমান ওঠা-নামা করে। শহরের কিয়ুশু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সরকারের কাছে আর্জি জানালেন, বিমানের ওঠা-নামার কম্পনের কারণে এক্সপেরিমেন্ট করতে সমস্যা হয়। আলোচনা শুরু করলেন সমস্যা সমাধানের। বিশ্ববিদ্যালয় স্থানান্তর না কি বিমানবন্দর? সরকার তাদের বেঁধে দেয়া ১০ বছর সময়ের মাঝে সরিয়ে ফেললেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ২০০৬ সালে শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে স্থাপিত হলো নতুন ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসের জন্য দেয়া হলো শাটল ট্রেন এবং উন্নত রাস্তা। কোনো অবরোধ হলো না, আন্দোলনে নামতে হলো না শিক্ষার্থীদের। শুধুমাত্র সরকারের সদিচ্ছার কারণে শান্তিপূর্ণভাবে পূরণ হলো শিক্ষার্থীদের চাওয়া।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর