ইয়েমেনে শিশুদের একটি বাসে সৌদি আরব ও আরব আমিরাত জোটের হামলায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শিশুসহ মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৪৩। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের দাহয়ান শহরের উত্তরাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা রেডক্রস এ ঘটনা নিশ্চিত করেছে।
টুইটারে সংস্থাটি জানিয়েছে, হামলার দিন সকালে স্থানীয় আইসিআরসি হাসপাতালে কয়েক ডজন মানুষকে ভর্তি করা হয়েছে। আইসিআরসি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনেক মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে বেশিরভাগের বয়সই ১০ বছরের কম। এছাড়া আহতের সংখ্যাও অনেক।
হুথিপন্থি আল মাসিরাহ চ্যানেল জানিয়েছে, সৌদি-আমিরাত জোটের হামলাতেই এ নিহতের ঘটনা ঘটেছে। তারা আরো জানিয়েছে, এ হামলায় ৩৯ জন নিহত হয়েছেন ও আরো ৫১ জন আহত হয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের বেশিরভাগ এলাকাই হুতিদের নিয়ন্ত্রণে। হামলার পর এখন পর্যন্ত সংগঠনটি কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে আল জাজিরাসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো নিহতের এ সংখ্যা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় সৌদি আরব ও আরব আমিরাত জোট ২০১৫ সালের মার্চ থেকে ইয়েমেনে ক্রমাগত হামলা চালিয়ে আসছে। গত বছরের হিসাব অনুযায়ী ইয়েমেনে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ। তবে বর্তমানে এ সংখ্যা আরো অনেক বেড়েছে। এছাড়া আরো লক্ষাধিক শিশু সৌদি অবরোধের কারণে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে নিহত হয়েছে। শুধুমাত্র জুন মাসেই সৌদি জোট ইয়েমেনে ২৫৮টি বিমান হামলা চালিয়েছে। তারমধ্যে এক-তৃতীয়াংশই বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে। শুধুমাত্র আবাসিক এলাকাকে টার্গেট করেই কমপক্ষে ২৪টি হামলা চালিয়েছে এ জোট। যুদ্ধের আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী বেসামরিক মানুষের উপরে কোনো ধরনের হামলা চালানো যাবে না। কিন্তু তারপরেও ইয়েমেনে বেসামরিক মানুষের নিহতের সংখ্যা দিন দিন ভয়াবহ হারে বেড়েই চলেছে।