× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

১১ বছরেও বিচার হয়নি মাহবুব হত্যার

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
১০ আগস্ট ২০১৮, শুক্রবার

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ফার্মেসি বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্র মাহবুবুর রহমান ভূঞা হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও বিচার পায়নি তার পরিবার। ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী জামিল আহমেদের কাছ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৮ই আগস্ট বাস ভাড়া নিয়ে নোয়াখালীর সোনাপুরে স্থানীয় লোকাল বাস কন্ডাক্টর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বাস মালিক-শ্রমিক সমিতি ওই দুজন শিক্ষার্থীকে আটকে রাখে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে এবং কিছু শিক্ষার্থী এর প্রতিবাদ করতে গেলে স্থানীয় বাস মালিক-শ্রমিক সমিতির সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মাহবুবুরকে কুপিয়ে হত্যা করে বাস মালিক-শ্রমিক সমিতির সভাপতি মিলু মহাজন ও কুত্তা জাকির সহ অন্য সদস্যরা। তার বড় ভাই মাহমুদুুর রহমান ভূঞা বলেন, তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক আবুল খায়ের এবং প্রক্টর আনিস মুরাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ঘটনার পরপর নোয়াখালীর সুধারাম থানায় মামলা করেন। হত্যার দুই বছর পর ভিসির বদলি ও প্রক্টর শিক্ষা ছুটিতে চলে যাওয়ায় এবং নতুন ভিসি অধ্যাপক সাঈদুল হক চৌধুরী নিয়োগের পরপরই মামলার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দ্রুত বিচারের আশ্বাস দেয়া হলেও হত্যার ১১ বছর পেরিয়ে গেছে।
এখনও বিচারের কাজ সমপন্ন হয়নি। তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমাকে চাকরির প্রতিশ্রুতি ও আমার ভাই মাহবুবুরের নামে একটি হলের নামকরণ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। এগুলো বাস্তবায়নের জন্য তিনি বর্তমান ভিসি ড. এম অহিদুজ্জামানের সাহায্য কামনা করেন। এ ব্যাপারে রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. মমিনুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মানবজমিনকে জানান, নিহতের পরিবারের একজনকে তখন চাকরি প্রদানের মৌখিক আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। এর কোনো লিখিত ডকুমেন্ট না থাকায় এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো কিছু করতে পারছে না। মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার কার্যক্রম বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। পরবর্তীতে মামলা চালু হবে কিনা তিনি এ ব্যাপারেও এখন কিছু বলতে পারছেন না। উল্লেখ্য, মাহবুবুুর রহমান ভূঞার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলাতে। তার বাবার নাম মৃত সিদ্দিকুর রহমান ভূঞা। তৎকালীন এস.আই মামুন বাস মালিক সমিতির সভাপতি মিলু মহাজন ও কুত্তা জাকিরসহ এক ডজন চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। নোবিপ্রবির শিক্ষার্থী ওহি আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে মানবজমিনকে বলেন, আমাদের অগ্রজ মাহবুব ভাইয়ের বিচার না হওয়ার কারণে বাস মালিক সমিতির চাঁদাবাজ সন্ত্রাসিরা আমাদের সঙ্গে বেপোরোয়া আচরণ করছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর