লিওনেল মেসিদের দায়িত্ব নেয়ার আগে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দলকে শিরোপা জেতালেন জাতীয় দলের নতুন কোচ লিওনেল স্কালোনি। স্পেনে হওয়া কোটিফ কাপের ফাইনালে রাশিয়ার বিপক্ষে নেমেছিল মেসি-ম্যারাডোনার উত্তরসূরিরা। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে সমতা থাকলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের গোলে রাশিয়ান যুবাদের ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনার যুবারা। এদিন ম্যাচের ১১তম মিনিটে দিভেভের গোলে এগিয়ে যায় রাশিয়ান যুবারা। ১৫তম মিনিটে সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা। দলের হয়ে সমতাসূচক গোলটি করেন কলিদিয়ো। ৮২তম মিনিটে কিসেলেভ লাল-কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দশ জনের দলে পরিণত হয় রাশিয়া।
পরে অতিরিক্ত সময়ের ১১তম মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন মারিনেলি। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের নতুন কোচ এবং অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচ স্কালোনি বলেন, আমাদের শুরু থেকেই চেষ্টা ছিল গোল করার। চেষ্টা ছিল আর্জেন্টিনার জার্সিকে সম্মান জানানোর। এটা জাতীয় দলের মতো বিশাল একটা অর্জন। আশা করি আর্জেন্টিনা ফুটবল তাদের এই অর্জনকে ছোট করে দেখবে না। এই আসরে আর্জেন্টিনাকে ক’দিন আগে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল ভারত অনূর্ধ্ব-২০ দল। তবে, সেমিফাইনালে উরুগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে স্কালোনির শিষ্যরা। আর ভেনিজুয়েলাকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে রাশিয়া। তার আগে মৌরিতানিয়াকে ২-০ গোলে, ভেনিজুয়েলাকে ৪-০ গোলে হারায় আর্জেন্টিনার যুবারা। অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবলে ছয়বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার হয়ে এর আগে খেলেছেন দিয়েগো ম্যারাডোনা (১৯৭৭-১৯৭৯), লিওনেল মেসি (২০০৪-২০০৫), লিওনেল স্কালোনি (১৯৯৭), পাবলো আইমাররা (১৯৯৭)। বয়সভিত্তিক এই দলটিতে সর্বোচ্চ ১৮ গোল করে মেসি এখনও রয়েছেন শীর্ষে। গোলদাতাদের তালিকায় দুইয়ে ম্যারাডোনা (১৩টি গোল)। এই দলে খেলেছেন সার্জিও আগুয়েরো, অ্যাঞ্জেল কোরেয়া, জিওভানি সিমিওনেরা।
১৯৮৩ সাল থেকে স্পেনে আয়োজিত হচ্ছে কোতিফ কাপ আসর। ২০১৬’র আগ পর্যন্ত আসরে জাতীয় দল ও ক্লাব দলকে এক সঙ্গে অংশগ্রহণ করতে দেখা যেতো। এবারের বিশ্বকাপ শেষে কোচ হোর্হে সাম্পাওলিকে কোতিফ কাপের আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দলের দায়িত্ব নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল দেশটির ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি এবং পরে চাকরি খোয়ান সাম্পাওলি।