× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রোয়িংয়ের এশিয়াড প্রস্তুতি /পদক নয়, অংশগ্রহণই বড় কথা

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১০ আগস্ট ২০১৮, শুক্রবার

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হলেও রোয়িং বা নৌকাবাইচ খুব একটা জনপ্রিয় নয়। বাংলাদেশ রোয়িং ফেডারেশনের কার্যক্রমও বছরে দু’চারটি ঘরোয়া আসরে নৌকাবাইচের মধ্যে সীমাবদ্ধ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্থানীয় উদ্যোগে নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হলেও এতে ফেডারেশনের কোনো ভূমিকা থাকে না। সামান্য সাহায্য সহযোগিতাও করে না ফেডারেশন। অনেক সময় তাদের নিমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা উপস্থিত থাকেন না। অথচ এসব নৌকাবাইচে নদীর দু’কূলে অপেক্ষমাণ দর্শকরা মনভরে উপভোগ করেন মাঝিদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তবে ঘরোয়া আসরে খুব একটা সরব না হলেও আন্তর্জাতিক আসরে অনেকটাই সরব বাংলাদেশের রোয়িং ফেডারেশন। দল বেঁধে বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলতে যান দেশের রোয়াররা।
তবে এশিয়ান গেমসে প্রথম খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশের রোয়িং।
কোনো পদকের আশা নয়, কেবল অংশগ্রহণের জন্যই ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়া রোয়ার আমিনুল ইসলাম মিঠুর। ২০শে আগস্ট জেএসসি লেকে লাইটওয়েট স্কাল ইভেন্টে লড়বেন তিনি।
রোয়িংয়ের প্রধান ইনস্ট্রুমেন্ট বোট। কিন্তু সেটা নেই বাংলাদেশ রোয়িং ফেডারেশনের। নির্দিষ্ট লেকও নেই। যেখানে রোয়াররা অনুশীলন করতে পারবেন। তাই এদেশের রোয়ারদের নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য থাকে না। প্রয়োজনীয় উপাদান না থাকলে কিভাবেই বা লক্ষ্যের কথা বলবেন। যেমনটা বলতে পারছেন না আমিনুল ইসলাম মিঠুও। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছুই নেই। তারপরও যাচ্ছি এশিয়ান গেমসে। বাংলাদেশ এবং আমার- এশিয়ান গেমসের রোয়িংয়ে প্রথম অংশগ্রহণ।’ এশিয়ান গেমসে প্রথম হলেও আন্তর্জাতিক আসরে প্রথম নয়। এর আগে দুটি এশিয়ান রোয়িং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছেন মিঠু। ২০১৬ সালে চীনের জিসানে এবং পরের বছর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে। একই সঙ্গে সিঙ্গেল ও দ্বৈত স্কালে খেলেছিলেন তিনি। একজন রোয়ার হিসেবে দেশের মাটিতে অনুশীলন করার কোনো সুযোগ পান না মিঠু। তাইতো এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের আগে দু’বার কলকাতায় গিয়ে অনুশীলন করতে হয়েছে তাকে। এবারও এশিয়ান গেমস উপলক্ষে কলকাতা গিয়েছিলেন। ‘আমাদের কোনো বোট নেই। তাই কলকাতা রোয়িং ক্লাবে অনুশীলন করেছি। সেখানে কলকাতা রোয়িং ক্লাব, লেক ক্লাব ও বেঙ্গল ক্লাবে গিয়েছি। ঢাকুরিয়ার লেকে অনুশীলন করেছি’-বলেন তিনি।
অনুশীলন শেষে ২৯শে জুলাই দেশে ফিরেন মিঠু। এখন মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে অবস্থিত রোয়িংয়ের আরগুমিটারে অনুশীলন করেন এবং জিম করেই সমায় কাটান। এ দু’টিই এখন ভরসা তার। এমন প্রস্তুতি নিয়েই চেষ্টা করবেন মিঠু। রোয়িং ফেডারেশনের সহসভাপতি মনিরুল আলম বলেন, ‘রোয়িংয়ে মিঠু অভিজ্ঞ। দুটি চ্যাম্পিয়নশিপ খেলে এসেছে। কলকাতায় এক মাস অনুশীলনও করেছে। সুযোগ থাকলে আমাদের দেশেই সে অনুশীলন করতে পারতো। কিন্তু তা নেই। তাই আমরা পদকের আশা করছি না। তবে সে নিজের উন্নতি করবে, সেটাই চাই।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর