সিলেট সিটিতে স্থগিত হওয়া দুই কেন্দ্রে যেন জালভোট না পড়ে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সিইসির কাছে দাবি জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসারের ঘোষিত ফলে এগিয়ে থাকা বিএনপির মেয়রপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভোটের দিন মৃত ও প্রবাসীদের ভোট গণনায় না নেয়ার দাবি জানান তিনি। ৩০শে জুলাইয়ের ভোটে দুই কেন্দ্রের জন্য সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল স্থগিত রয়েছে। সেই দুই কেন্দ্রে ভোট হবে শনিবার। গতকাল সিইসির সঙ্গে দেখা করে বের হয়ে সাংবাদিকদের আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেটে যে সব ভোটার মৃত্যুবরণ করেছেন এবং প্রবাসে আছেন তাদের নামের তালিকাটা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে দিয়েছি। নাম সহ এ তালিকা দেয়া হয়েছে।
আমার তাদের (ইসির) প্রতি অনুরোধ থাকলো মৃত এবং প্রবাসীদের ভোটগুলো যেন কাস্ট না হয়। আরিফুল জানান, তার দাবির বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন সিইসি।
তিনি বলেন, এমনিতেও আমি অনেক ভোটে এগিয়ে আছি। সিইসি আমাকে বলেছেন, এটা তারা দেখবেন। এখন তারা দেখছেন। সার্বিকভাবে সিলেটের নির্বাচন নিয়ে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, এগুলো বলে লাভ নাই, আমার মনে হয় লাইভ হলে ভালো হতো। আপনারা এগুলো জনগণকে দেখান না। সিলেট সিটির ভোট নিয়ে সিইসিকে কী জানানো হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে আরিফুল হক বলেন, বলার জায়গায় সব বলেছি। আমি এখন আপনাদেরকে লাইভ (সরাসরি প্রচার) ছাড়া কিছু বলতে চাই না। লাইভ হলে আপনারা কাট করতে পারবেন না। আর না হলে আসল কথাটা জনগণ জানলো না। নানা অভিযোগের পরও এগিয়ে থাকার বিষয়ে আরিফুল হক বলেন, আমি প্রত্যেকটা মিডিয়ার সামনে একই কথা বলেছি, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমি এক লাখের উপরে ভোট পাবো। কারণ জনগণের প্রতি আমার কনফিডেন্স আছে। আমি সে কনফিডেন্স নিয়েই কথা বলেছি। তার প্রমাণও পেয়েছেন। সিলেট সিটি নির্বাচনের আসল চিত্র জনগণ দেখার সুযোগ পায়নি। তারপরও আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে আমি এখনো এগিয়ে আছি। গত ৩০শে জুলাই রাজশাহী ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সিলেট সিটিতে ভোটগ্রহণ করা হয়। অনিয়মের কারণে দুটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করে ইসি।
সিলেটের রিটার্নিং অফিসার ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টির যে ফলাফল ঘোষণা করেন, তাতে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী ৪ হাজার ৬২৬ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের চেয়ে এগিয়ে আছেন। সিলেটের গত মেয়াদের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৯০ হাজার ৪৯৩ ভোট। আর সাবেক মেয়র কামরান নৌকা প্রতীকে ৮৫ হাজার ৮৭০ ভোট পেয়েছেন। স্থগিত থাকা গাজী বোরহান উদ্দিন মাদরাসা (১১৬ নং কেন্দ্র) ও হবিনন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৩৪ নং কেন্দ্র) কেন্দ্রে মোট ভোট আছে ৪৭৮৭টি। অর্থাৎ দুই প্রার্থীর ভোটের ব্যবধানের চেয়ে ১৬১টি ভোট বেশি রয়েছে স্থগিত কেন্দ্র দুটিতে।