× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চট্টগ্রামে শিবির ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের নামে মামলা

অনলাইন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) আগস্ট ১০, ২০১৮, শুক্রবার, ৪:০৮ পূর্বাহ্ন

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে লাইসেন্স না পেয়ে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এক উপ-কমিশনারের গাড়ি আটক ও চালককে মারধর করে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় নগরীর ৪০ জনেরও বেশি ছাত্রদল ও শিবির কর্মীছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরো ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ।

ঘটনার ৬ দিন পর গত ৮ই আগষ্ট বুধবার রাতে নগরীর চকবাজার থানার কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেন বাদি হয়ে ওই থানায় মামলাটি দায়ের করেন। আর মামলা দায়েরের কথাও জানাজানি হয় তখনই; যখন আসামিদের গ্রেপ্তারে সক্রিয় হয়ে উঠে পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ মামলায় গ্রেপ্তারের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল ও শিবিরের কয়েকজন নেতাকর্মীর বাসায় অভিযান চালায় চকবাজার থানার পুলিশ। কিন্তু এ মামলার আগে অধিকাংশ ছাত্রদল ও শিবির নেতাকর্মী নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় ঘরছাড়া। ফলে তাদের কাউকে তেমন পায়নি পুলিশ। তবে তাদের বাসায় পুলিশের তান্ডবের কথা জানান স্বজনরা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলায় ছাত্রশিবিরের ২৮ জন, যুবদল ও ছাত্রদলের ১২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

তিনি জানান, মামলার এজাহারে গত ২রা আগস্ট সকালে নগরীর ওয়াসা মোড়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যে জামায়াত, ছাত্রশিবির, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঢুকে পড়ে।
তারা লাঠিসোঁটা ও লোহার রড নিয়ে বিক্ষোভ করার পাশাপাশি পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। পাশাপাশি চালককেও মারধর করে গুরুতর জখম করে।

প্রসঙ্গত, নিরাপদ সড়কের দাবিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ২রা আগষ্ট সকালেও সড়কে নেমে যানবাহন ও চালকের লাইসেন্স চেক করে। ওই সময় সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ওয়াসার মোড় পার হচ্ছিলেন নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ কমিশনার হারুনুর রশিদ হাজারী।

শিক্ষার্থীরা তার গাড়ি থামিয়ে লাইসেন্স চান। গাড়ির লাইসেন্স তখন দেখাতে পারেননি পুলিশের উপ কমিশনার হারুনুর রশিদ হাজারী। এসময় চালকও লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ হলে সরকারি গাড়িটি আটকে দেওয়া হয়। চালকের উদ্যতপূর্ণ আচরণের পর শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করে গাড়ির চাবি কেড়ে নেয়।

এ বিষয়ে উপ কমিশনার হারুনুর রশিদ হাজারী তখন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, লাইসেন্স আছে। তবে গাড়িতে সেটা ছিল না। ছাত্ররা সন্তানের মতো। তাদের আন্দোলনের অবশ্যই যৌক্তিকতা আছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর