নবীনগর উপজেলার বিএনপি নেতা মলাই মিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার নিয়ে চলছে নাটক। সাবেক এই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের একদিন পরেই অদৃশ্য কারণে স্থগিত করা হয়। ৩৫ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকা ত্যাগী এই তৃণমূল নেতার বহিষ্কারাদেশ কি কারণে স্থগিত করা হয়েছে তার কোন সদুত্তর দিতে পারেনি বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। সারা দেশে সরকার বিরোধী শক্তিগুলো যেখানে বিএনপির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে সেখানে দলের এই ত্যাগী নেতাকে বাইরে রাখায় নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অথচ মলাই মিয়ার হাত ধরেই নবীনগরে প্রতিষ্ঠিত হয় বিএনপি এবং গড়ে উঠে জাতীয়তাবাদীদের শক্ত অবস্থান। জানা গেছে, ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় মলাই মিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে ওই নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর কাছে অল্প ভোটে হেরে দ্বিতীয় হন তিনি। কিন্তু গত ২২শে জুন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে ওই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
কিন্তু এর কদিন পরেই অদৃশ্য কারণে রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত আরেকটি চিঠিতে তার বহিষ্কারাদেশ স্থগিত করা হয়। কেন তার বহিষ্কারাদেশ স্থগিত করা হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট কোন কারণও উল্লেখ করা হয়নি। ব্র্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের পর আমরা তাকে স্বাগত জানিয়েছি। কিন্তু পরে কি কারণে তার বহিষ্কারাদেশ স্থগিত করা হয়েছে তার কিছুই জানতে পারিনি। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন খোকন বলেন, তাকে কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু পরে বহিষ্কারাদেশ স্থগিতের বিষয়টি আমাদের জানানো হয়নি। নবীনগর উপজেলা বিএনডির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মলাই মিয়া বলেন, ৩৫ বছর বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে আছি। মৃত্যুর আগে বহিষ্কারের অপবাদটা মুছতে চাই, যেন কেউ আমার লাশের পাশে দাঁড়িয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা বলতে না পারে।