পবিত্র ঈদুল আজহার হাটে আসতে প্রস্তুত সাটুরিয়ার বিল্লাল হোসেনের ৪০ মণ ওজনের ষাঁড় সিনবাদ। এক বছর আগে কেনা এ ষাঁড়টি ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সম্পূর্ণ দেশি পদ্ধতিতে লালন-পালন করে বড় করেছেন। এখন চলছে শেষ প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে এখবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিদিনই ভিড় করছে এক নজরে দেখার জন্য সিনবাদকে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও খামারি বিল্লাল হোসেন মনে করছেন ঈদের বাজার ভালো থাকলে উপযুক্ত দাম পাবেন।
যে সিনবাদ নামে ষাঁড়টি এবার ঈদে তাক লাগানোর জন্য শেষ প্রস্তুতি নিচ্ছে সে খামারি হচ্ছে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের সাফুল্লি গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের পুত্র বিল্লাল হোসেন (৪৫)।
বিল্লাল হোসেন ১ বছর আগে সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রাম থেকে ২ বছর বয়সী হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি কিনে আনেন। কোরবানি ঈদে বিক্রি করার জন্য লালন পালন করবেন তাই নাম রাখেন সিনবাদ। শুরু থেকেই দেশীয় পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে লালন পালন করতে থাকে এ সিনবাদ নামে ষাঁড়টিকে।
বিল্লাল হোসেনের ৪০ মণ ওজনের ষাঁড়টি দেখার জন্য গতকাল সকালে বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় খামারি বিল্লাল তার সিনবাদকে যত্ন নিতে ব্যস্ত। পাকা গোয়ালের দিকে চোখ গেলেই আটকে যায়। ঝক ঝক করছে ঘরটি। চতুর্দিকেই বাঁশের আড়ার সঙ্গে থড়ে থড়ে কলা, আঙ্গুর, মালটা সাজানো।
রাখাল মাঝে মাঝে তা ছিঁড়ে খাওয়াচ্ছেন। পাকা মেজেতে বেশি ওজনের ষাঁড়টির পায়ের গোড়ালি ব্যথা না হয় সেজন্য দামি ম্যাট বসিয়েছেন। সার্বক্ষণিক ঠান্ডা করার জন্য ২টি সিলিং ফ্যান, ২টি ঝুড়ি ফ্যান ও একটি স্ট্যান্ড ফ্যান ব্যবহার করা হয়।
খামারি বিল্লাল হোসেন বলেন, সখের বসেই বাণিজ্যিকভাবে গরু লালন পালন করে থাকি। তবে এর আগে সাটুরিয়ায় পর পর ৩ বছর বেশি ওজনের গরু বিক্রির বিষয়টি দেখে আমিও সিদ্ধান্ত নিই। সেই থেকে শুরু। একটি বছর এ সিনবাদকে লালন পালন করে আজকে ৪০ মণ ওজনে পরিণত করেছি। প্রথম ৬ মাস প্রতিদিন ১২০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকার খাবার আর শেষ ৬ মাস ১৮০০-২০০০ হাজার টাকার খাবার খাইয়েছি।
বিল্লাল বলেন, সিনবাদকে প্রতিদিন কাঁচা ঘাস, গমের ভুসি, শুকনা খড়, ভুট্টা, ধান ও গম ভাঙ্গা, ছোলা, চিড়া, আখের গুড়, মালটা, কলা, পেয়ারা, মিষ্টি লাউ, নালী খাওয়ানো হয়। আর ওষুধের
মধ্যে ডিসিপি লবণ খাইয়েছি।