লালমনিরহাট শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার অঞ্জলী রানী রায় নামের এক নব গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করেছে পাষণ্ড স্বামী। পুলিশ শুক্রবার সকালে উদ্ধার করেছে তার লাশ। ঘটনার পর থেকে স্বামী তাপস কুমার পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানায় নিহত গৃহবধূর পিতা হেমন্ত কুমার রায় বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ ও মামলার বিবরণে জানা গেছে, সদর উপজেলার হারাটী ইউনিয়নের খামার গোবিন্দরাম এলাকার করুনা সরকার কামিনি মোহরীর পুত্র তাপস কুমারের সঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার রতিরাম কমল ওজা এলাকার হেমন্ত কুমারের মেয়ে অঞ্জলীর বিয়ে হয় ২ মাস আগে। বিয়ের পর থেকে তাপস তার স্ত্রী অঞ্জলীকে নিয়ে লালমনিরহাট শহরের জেলখানা রোড এলাকায় দোয়েল ক্লিনিক এর পাশে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকার জন্য নির্যাতন করে স্বামীসহ তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার রাতে অঞ্জলী রানীকে বেধড়ক মারপিট করলে সে সহ্য করতে না পেরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
এতেও ক্ষান্ত হয়নি পাষণ্ড স্বামী। প্রচণ্ড নির্যাতনের একপর্যায়ে অঞ্জলী মারা যায়। তার লাশ গোপনে গুম করার জন্য পাষণ্ড স্বামী তাপস কুমার ও তার বাবা লালমনিরহাট জজ আদালতের মোহরী কামিনি তার ভাড়াটে বাসা লালমনিরহাট শহরের স্টেডিয়ামপাড়া জেল রোড থেকে তার গ্রামের বাড়ি হারাটী ইউনিয়নের খামার গোবিন্দরাম গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে বিষয়টি জানাজানি হলে শুক্রবার সকালে হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যা হিসাবে চালানোর জন্য মাইক্রোবাস ভাড়া করে সদর হাসপাতালে আনার চেষ্টা করে। বিষয়টি মাইক্রোবাস ড্রাইভার এরশাদুল ইসলাম টের পেলে মাইক্রোবাসটি লাশ সহ হাসপাতালের পরিবর্তে সদর থানায় নিয়ে আসে। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সদর থানায় নিহত অঞ্জলীর পিতা হেমন্ত কুমার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করে। এ মামলায় ঘাতক স্বামী তাপস কুমার, তার পিতা করুনা সরকার কামিনি মোহরী, জোসনা রানী, কমলা কান্তসহ আরো কয়েকজনকে আসামী করা হয়েছে।