× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দুশ্চিন্তায় খুলনার ব্যবসায়ীরা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১১ আগস্ট ২০১৮, শনিবার

কোরবানির ঈদের আর মাত্র ১১ দিন বাকি। অথচ এখনো পশুর চামড়া সংগ্রহের প্রস্তুতি শুরু করতে পারেনি খুলনার চামড়া ব্যবসায়ীরা। চামড়া সংরক্ষণের জন্য কোনো জায়গা না থাকা, দাম কমে যাওয়া এবং পূর্বের বকেয়া টাকা না পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। এ অবস্থায় চামড়ার মূল্য নির্ধারণে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীরা।
খুলনার চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, লোকসানের বোঝা সহ্য করতে না পেরে ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছেন খুলনার অধিকাংশ ব্যবসায়ী। গত ৩/৪ বছরের মধ্যে অন্তত ১০ জন প্রবীণ ব্যবসায়ী এই ব্যবসা থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। এজন্য শেখপাড়া চামড়াপট্টির অধিকাংশ চামড়ার দোকানই অনত্র ভাড়া হয়ে গেছে।
এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী এই চামড়ার বাজারে এখন চামড়ার দোকান রয়েছে মাত্র দু’টি। অধিকাংশ দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চামড়া সংরক্ষণ করতে হয় রাস্তায়।
কিন্তু গতবছর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে রাস্তায় চামড়া সংরক্ষণের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা  দেয়া হয়েছে। এজন্য জায়গা নিয়েও সমান দুশ্চিন্তা তাদের।
ব্যবসায়ীরা জানান, এক সময় খুলনায় ৭০/৮০ জন চামড়া ব্যবসায়ী ছিলেন। এখন কমতে কমতে সেটি ৩/৪ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে ঈদেও মৌসুমে এই সংখ্যা বাড়ে। তারা জানান, চামড়া বিক্রির জন্য স্থায়ী কোনো বাজার নেই।  শেখপাড়া চামড়াপট্টির বাড়ির মালিকরা এখন আর চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছে দোকান ভাড়া দিতে চায় না। যার কারণে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। ঈদে কাঁচা চামড়া কিনে অন্তত ১০/১৫ দিন, কখনো এক মাস পর্যন্ত লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করতে হয়। এবার সেই জায়গাও  নেই। এছাড়া মূলধন নিয়েও দুশ্চিন্তা তো রয়েছেই।
সরজমিন নগরীর চামড়াপট্টি ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানির ঈদের মাত্র ১১ দিন বাকি থাকলেও পুরো এলাকা নিষপ্রাণ। চামড়ার দোকানগুলো ওয়ার্কশপে পরিণত হয়েছিল আরও দুই বছর আগে। চামড়াপট্টিতে গিয়ে এখন-চামড়ার  দোকানই খুঁজে পাওয়া কষ্টকর।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রকৃত ব্যবসায়ী কমে যাওয়ায় এই ব্যবসা ফড়িয়াদের দখলে চলে গেছে। তারা কম দামে চামড়া কিনে, ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে। ব্যবসায়ীরা বিক্রি করে ট্যানারি বা আড়ৎদারদের কাছে। ট্যানারি ও আড়ৎ মালিকরা ব্যবসায়ীদের ঠিকমতো টাকা দেয় না। অথচ ফড়িয়াদের টাকা তাদের নিয়মিত পরিশোধ করতে হয়। ধার-দেনা করে ব্যবসা চালাতে গিয়ে অনেকেই এখন নিঃস্ব হয়ে গেছেন।
চামড়া পট্টিতে গিয়ে কথা হয় আমান লেদারের ম্যানেজার শাহীদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, চামড়ার ব্যবসা এখন ভয়াবহ। দাম পড়ে গেছে, এর চেয়েও বেশি সমস্যা সংরক্ষণের জায়গা নেই। লোকসানের বোঝা সহ্য করতে না পেরে অনেকেই এখন অন্য ব্যবসায় চলে গেছেন।
এ ব্যাপারে খুলনা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম ঢালী বলেন, চামড়া ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সবার আগে প্রয়োজন একটি পৃথক মার্কেট।
শেখপাড়ায় বাড়ির মালিকরা এখন আর চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছে দোকান ভাড়া দিতে চায় না। এখন মাত্র দু’টি দোকান আছে। এ জন্য পৃথক মার্কেট না হলে খুলনায় চামড়া ব্যবসা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর