নিজের ছেড়ে দেয়া সিলেট-১ আসনে ছোটো ভাই ড. একে আবদুল মোমেনকে চান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সিলেটে সম্প্রতি সংক্ষিপ্ত সফরকালে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ চাওয়ার কথা জানান। বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে এ আসন থেকে ড. মোমেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবে। দল সমর্থন দিলে সে নির্বাচন করবে।’ । প্রায় ৩ বছর আগে সিলেটের রাজনীতিতে অভিষিক্ত হয়েছেন ড. একে আবদুল মোমেন। জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন। এরপর সিলেটের রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিক অভিষিক্ত হন তিনি। অর্থমন্ত্রীর ছায়াসঙ্গী হয়ে সিলেটে বিচরণ করছেন তিনি।
এদিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি আর নির্বাচন করবেন না। তার এই ঘোষণায় সিলেটে ড. মোমেন ছাড়াও সিলেট-১ আসনে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসেনের নামও এসেছে। সিলেটে নির্বাচন করার চিন্তাভাবনাও রয়েছে সাবেক ওই নির্বাচন কমিশনারের। ভোটের রাজনীতির মধ্য দিয়ে ছহুল হোসাইন সিলেটের রাজনীতিতে নামতে চান বলে জানিয়েছেন তার সিলেটের স্বজনরা। তবে- অর্থমন্ত্রী ড. আবুল মাল আবদুল মুহিতের ছায়াসঙ্গী থেকে ৩ বছরেই সিলেটে পরিচিতি পেয়েছেন ড. একে আবদুল মোমেন। বিশেষ করে সিলেট উন্নয়নের চিন্তাভাবনায় তার পরিচিতি দ্রুত ঘটে। অর্থমন্ত্রী চলমান উন্নয়নের বাইরেও আগামীর সিলেট বিনির্মানে তিনি কী করতে চান সেটিও ভেবে রেখেছেন। ড. মোমেন সিলেট উন্নয়নের বিষয়ে সরকারকে নানা ভাবে চাপেও রাখছেন। এবারের সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ড. মোমেন নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের পক্ষে প্রচারণা ছাড়াও নির্বাচনী জনসভায়ও ভাষণ দেন। মর্যাদাপূর্ণ আসন হচ্ছে সিলেট-১। প্রথা রয়েছে- সিলেট-১ আসন যার সরকার তার। এই প্রথা মাথায় নিয়ে সিলেট-১ আসনে প্রার্থী মনোনীত করে রাজনৈতিক দলগুলো। ১৯৯৬ সালে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বিশ্ববরেণ্য কূটনীতিবিদ প্রয়াত স্পিকার হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী। স্পিকারের মৃত্যুর পর ওই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন প্রয়াত অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমান। সাইফুর রহমানের পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে নির্বাচিত হন বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি পরপর দুই টার্ম এ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে রয়েছেন।